সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দু’বারের ব্যর্থ সংঘর্ষবিরতির পর আরও তীব্র হয়েছে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে চলা যুদ্ধ। প্রায় এক মাস ধরে চলা যুদ্ধে এপর্যন্ত প্রায় ৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বিশ্লেষকদের মত, এই লড়াইয়ে আমেরিকা, রাশিয়া ও তুরস্কের মতো দেশগুলি জড়িয়ে পড়ায় ক্রমেই বাড়ছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সম্ভাবনা।
গত সেপ্টেম্বর মাসের ২৭ তারিখ থেকে আর্মেনীয় অধ্যুষিত বিতর্কিত নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চলের দখল নিয়ে জোর লড়াই শুরু করছে আর্মেনিয়া (Armenia) ও আজারবাইজান (Azerbaijan)। রুশ পৌরহিত্যে দু’বার সংঘর্ষবিরতি চুক্তি হলে তা ক্ষণস্থায়ী হয়। তাই ককেশাসে শান্তি ফেরাতে শুক্রবার দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীদের সঙ্গে আলাদাভাবে ওয়াশিংটনে বৈঠকে বসেন মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেও। বৈঠক চলাকালীন মার্কিন বিদেশ দপ্তরের সামনে প্রতিবাদ সাব্যস্ত করেন আজেরবাইজন ও আর্মেনিয়ার সমর্থকরা।
জানা গিয়েছে, প্রথমে আজারবাইজাননের বিদেশমন্ত্রী জেহুন বায়রামভের সঙ্গে দেখা করেন পম্পেও। বৈঠক চলে প্রায় ৪০ মিনিট। যুদ্ধ থামানো নিয়ে কথা হলে দু’জনের মধ্যে হওয়া আলোচনা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। তারপর আর্মেনিয়ার বিদেশমন্ত্রী জহরাব নাতসাকানয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মার্কিন বিদেশসচিব। সূত্রের খবর, নিজেদের অবস্থান থেকে পিছু হটতে রাজি নয় কোনও পক্ষই। ফলে শান্তির আশা আপাতত নেই। এর আগে বৃহস্পতিবার আর্মেনিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।
উল্লেখ্য, ককেশাস অঞ্চলে চলা এই লড়াইয়ে রীতিমতো বিভক্ত বিশ্ব। আজারবাইজানের পক্ষে রয়েছে তুরস্ক, পাকিস্তানের ও মুসলিম বিশ্বের একাধিক দেশ। আর্মেনিয়ার পক্ষে রয়েছে ফ্রান্স-সহ বেশ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ। এই সংঘাতে নিজেদের স্বার্থে জড়িয়ে পড়েছে আমেরিকা ও রাশিয়া। ফলে যুদ্ধের আগুন শীঘ্রই না নিভলে বিশ্বযুদ্ধের দাবানল ছড়িয়ে পড়বে বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.