ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভয়াবহ বিস্ফোরণ ইরাকের সেনাঘাঁটিতে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বিস্তর। এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিস্ফোরণে অন্তত একজনের মৃত্যু হয়েছে। আটজন জখম হয়েছেন। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, সেনাঘাঁটিটি মূলত ব্যবহার করে ইরানের মদতপুষ্ট শিয়া মিলিশিয়া হাশেদ আল-শাবি। ফলে সন্দেহের তির ইজরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের দিকে। হামলার নেপথ্যে আমেরিকার হাতও থাকতে বলে মনে করা হচ্ছে।
ইরানের মদতপুষ্ট শিয়া মিলিশিয়া হাশেদ আল-শাবিইর ঘাঁটি রয়েছে এই কালসো ঘাঁটিতে। আইএসের মোকাবিলা করতে এই গোষ্ঠীকে নির্মাণ করা হলেও ইরানের উসকানিতে ইজরায়েলের সঙ্গে ছায়াযুদ্ধ চালায় তারা। এদিকে আমেরিকার সঙ্গে ইরানের ‘শত্রুতা’র কথাও সর্বজনবিদিত। অতীতে ইরাকে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিতেও তাদের হামলা চালাতে দেখা গিয়েছে। ফলে মোসাদ এই হামলার নেপথ্যে থাকতে পারে, এমনটা মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।
মধ্যপ্রাচ্যে বারুদের গন্ধ যেন কিছুতেই ফিকে হচ্ছে না। সম্প্রতি সারা বিশ্বের উদ্বেগ বাড়িয়েছে ইরান-ইজরায়েল সংঘর্ষ। হামাস-ইজরায়েল সংঘর্ষের মধ্যেই গত শনিবার রাতে ইজরায়েলকে নিশানা করে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরানের ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড কোর। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ইরানে আছড়ে পড়ে বেশ কয়েকটি ইজরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র। এবার খবরে ইরাক।
এখনও পর্যন্ত বিস্ফোরণের দায় নেয়নি কোনও গোষ্ঠী। উঠে এসেছে মার্কিন সেনার নামও। যদিও সেনার তরফে সোশাল মিডিয়ায় জানানো হয়েছে, ‘আজ ইরাকে হওয়া হামলায় আমেরিকাকে জড়ানোর অভিযোগ আমাদের নজরেও এসেছে। কিন্তু এমন রিপোর্ট সত্যি নয়। ইরাকে হওয়া আজকের হামলায় জড়িত নয় আমেরিকা।’ এদিকে ইরানের বিদেশমন্ত্রী হোসেন আমিরআবদোল্লাইন জানিয়েছেন, ইজরায়েল যদি ইরানের স্বার্থের বিরুদ্ধে যায়, তাহলে ‘সর্বোচ্চ’ পর্যায়ে তার জবাব দেবে তেহেরান। সব মিলিয়ে ক্রমশই ঘন হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের ‘যুদ্ধমেঘ’।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.