Advertisement
Advertisement

Breaking News

করোনা

আস্থা রুশ করোনা ভ্যাকসিনেই, টিকা নেবেন মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট

রুশ টিকার প্রয়োগ নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা।

Mexican president volunteers to take Russian coronavirus vaccine
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:August 18, 2020 2:33 pm
  • Updated:August 18, 2020 2:33 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিতর্কের মাঝেই রুশ করোনা ভ্যাকসিনেই আস্থা রেখে টিকা নেবেন মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রে ম্যানুয়েল লোপেজ ওবরাডোর।

[আরও পড়ুন: Huawei-এর মাধ্যমে চরবৃত্তি চিনের, নয়া নিষেধাজ্ঞা জারি ট্রাম্প প্রশাসনের]

দু’মাসেরও কম সময়ের ‘হিউম্যান ট্রায়াল’ বা মানব শরীরে টিকাটির প্রয়োগ সংক্রান্ত পরীক্ষা নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞরা। টিকাটি কতটা নিরাপদ, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন অনেকেই। অনেকেরই মত, প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে তাড়াহুড়ো করে টিকাটি বাজারজাত করার চেষ্টা করছে রাশিয়া (Russia)। এতে ফল হবে মারাত্মক। তাঁদের দাবি, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের মাত্র ১০ শতাংশই সফল হয়েছে এখনও পর্যন্ত। কিন্তু এহেন সমালোচনা সত্বেও রাশিয়ার তৈরি ‘Sputnik V’ টিকাটিকে অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেক্সিকো। তারা এই টিকার প্রথম ব্যাচ উত্‍‌পাদনও করবে বলে ঘোষণা করেছে। আর যাবতীয় ধন্দ কাটাতে তিনি নিজের শরীরে প্রথম এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করবেন বলে জানিয়েছেন মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ওবরাডোর। এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “আমিই প্রথম এই টিকাটি নেব।” এই টিকা তৈরি করতে AstraZeneca Plc ওষুধের কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে মেক্সিকো ও আর্জেন্টিনা।

Advertisement

উল্লেখ্য, আগস্টের ১১ তারিখ বিশ্বে করোনার প্রথম টিকা আবিষ্কারের কথা ঘোষণা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শুধু তাই নয়, নিজের কন্যার শরীরে টিকাটি প্রয়োগ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। তারপরই বিশ্বজুড়ে প্রাথমিক উত্তেজনা কেটে যাওয়ার পর শুরু হয় প্রশ্নোত্তরে পালা। কিন্তু তাতে বিন্দুমাত্র বিচলিত নয় মস্কো। টিকাটির দ্রুত উৎপাদন শুরু করা হচ্ছে সে দেশে। পুতিনের দেশ বলছে, ভ্যাকসিন তৈরিতে রুশ বিজ্ঞানীদের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা আছে। তাকে কাজে লাগিয়েই মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে তৈরি হয়েছে ভ্যাকসিন। সেই সংক্রান্ত তথ্য দিতে ইতিমধ্যেই www.sputnikvaccine.com নামে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেছে রুশ প্রশাসন।

রুশ বিজ্ঞানীদের দাবি, যে পদ্ধতিতে ইবোলার ভ্যাকসিন তৈরি হয়েছিল, সেই পথে হেঁটেই আবিষ্কার হয়েছে ‘স্পুটনিক ফাইভ’। ভ্যাকসিন তৈরিতে অ্যাডিনো ভাইরাসের ব্যবহার করা হয়েছে। এই ভাইরাসের জিনের সঙ্গে অন্য ভাইরাসের প্রোটিন মিশিয়ে তৈরি হয়েছে বহু প্রতীক্ষিত করোনার ভ্যাকসিন’। অক্সফোর্ড, আমেরিকা, চিনের বিভিন্ন সংস্থাও ভ্যাকসিন তৈরিতে অ্যাডিনোভাইরাস ব্যবহার করছে। কিন্তু, উন্নতমানের প্রযুক্তি আছে শুধু রাশিয়ার হাতেই।

[আরও পড়ুন: ভারতীয়দের মন জয়ের চেষ্টা, কমলা হ্যারিসের প্রেস সচিব পদে ‘দেশি গার্ল’ সাবরিনা সিং]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement