সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গার্লফ্রেন্ড নাকি ছদ্মবেশি পুলিশ? হীরে ব্যবসায়ী মেহুল চোকসিকে (Mehul Choksi) ডোমিনিকায় নিয়ে গিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া কি পুরোটাই পরিকল্পনা? এমনই তথ্য জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে। এক্ষেত্রে পিএনবি কেলেঙ্কারির অন্যতম মূল চক্রী পলাতক চোকসি সম্পূর্ণতই হানিট্র্যাপের (Honey Trap) শিকার বলে মনে করা হচ্ছে। ওই সুন্দরী মহিলার প্রেমে পড়ে, তাঁকে নিয়ে ডোমিনিকায় অভিসারে গিয়েই গ্রেপ্তার হয়েছেন মেহুল চোকসি। এবার প্রকাশ্যে এল সেই জাল বিস্তারের কাহিনি।
জানা গিয়েছে, অ্যান্টিগায় গা ঢাকা দিয়ে থাকাকালীন মেহুল চোকসির সঙ্গে আলাপ হয় বারবার জারাবিকা (Babara Jarabica) নামে ওই মহিলার। পেশায় তিনি বিনিয়োগ পরামর্শদাতা। দু’জনে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে দেখা-সাক্ষাৎ করতেন। এরপর ২৩ মে বারবারা তাঁকে নিজের ফ্ল্যাটে আমন্ত্রণ জানান। চোকসি সেখানে গেলে দু’জনে মিলে ডোমিনিকায় (Dominica) বেড়ানোর পরিকল্পনা করেন। এরপর তাঁরা ডোমিনিকায় যান। সেখান থেকেই গ্রেপ্তার করা হয় চোকসিকে। বারবারা তারপর থেকে সম্পূর্ণ উধাও। আর তাতেই সন্দেহ বাড়ে। খোঁজখবর করে দেখা যায়, বারবারা জারাবিকা আসলে অ্যান্টিগা (Antigua) গোয়েন্দা সংস্থার এক সদস্য। ভারতের পলাতক হীরে ব্যবসায়ীকে ধরতে ৩ সদস্যের যে দল তৈরি করেছিল অ্যান্টিগার গোয়েন্দা সংস্থা, বারবারা তাঁদেরই একজন।
এর আগে অবশ্য অ্যান্টিগার প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, বান্ধবীকে নিয়ে বিলাসবহুল প্রমোদতরীতে ডোমিনিকায় ঘুরতে গিয়েছিলেন চোকসি। সেখানেই পুলিশের জালে ধরা পড়েন ভারতের পলাতক হীরে ব্যবসায়ী। সেই বান্ধবীর পরিচয় জানতে গিয়েই প্রকাশ্যে এল আসল ঘটনা। এই ইস্যুতে ভারতের পাশে থেকেই চোকসিকে জালে আনার প্রচেষ্টা করেছে অ্যান্টিগা পুলিশ। তাকে সরাসরি ডোমিনিকা থেকেই ভারতে ফেরাতে তৎপর অ্যান্টিগা প্রশাসন। কারণ, অ্যান্টিগায় ফিরলে আবার সে দেশের নাগরিক হওয়ার সুবাদে আইনি সুরক্ষা পেয়ে যাবেন চোকসি। সেইমতো প্রক্রিয়া শুরু করে তারা। ডোমিনিকার আদালতের নির্দেশে ২ জুন পর্যন্ত সেখানকার পুলিশের হেফাজতে আছেন হীরে ব্যবসায়ী। তারই মধ্যে অসুস্থ হয়ে সোমবার ডোমিনিকার এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.