সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিদেশে পালিয়েও শান্তি নেই ‘হীরক রাজা’ মেহুল চোকসির (Mehul Choksi) মনে। অপহরণ কাণ্ডের পর তাঁর কপালে ঝুলছে প্রত্যর্পণের খাঁড়া। এদিকে, পলাতক ব্যবসায়ীকে সঙ্গ দিয়ে বিপাকে পড়েছেন সুন্দরী বারবারা জ্যাবরিকা। তাই এবার আত্মপক্ষ সমর্থনে তিনি সাফ জানিয়েছেন, নিজের আয়ের টাকাতেই দিব্যি চলে যায় তাঁর। মেহুল তাঁর ‘সুগার ড্যাডি’ নন।
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ‘বুলগেরিয়ার নাগরিক’ বারবারা সাফ বলেন, “আমি এর আগেও একাধিকবার বলেছি যে আমি মেহুল চোকসির বান্ধবী নই। তিনি আমার সুগার ড্যাডি বা ওই ধরনের কিছু নন। আমার নিজস্ব ব্যবসা রয়েছে। আমি আয় করি। তাঁর (মেহুল চোকসি) টাকা, হোটেল বুকিং বা নকল গয়নার মতো কোনও জিনিসের প্রয়োজন নেই আমার।” তবে বারবারার বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি রয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। মেহুলের সঙ্গে তাঁর কী সম্পর্ক? কেনই বা নির্দিষ্ট করে বারবারার নামই বলছেন মেহুল? অপহরণের ঘটনার সময় তিনি কোথায় ছিলেন? এমন সব প্রশ্নের উত্তর এখনও স্পষ্ট নয়।
সম্প্রতি, অপহরণের অভিযোগে অনড় থেকে পুলিশের কাছে ‘বান্ধবী’ বারবারা জ্যাবরিকার নাম নিজেই ফাঁস করেন পিএনবি ব্যাংক জালিয়াতির অন্যতম অভিযুক্ত মেহুল চোকসি। ডোমিনিকা পুলিসের কাছে তাঁর অভিযোগ, অভিযোগ, জ্যাবরিকাই অপহরণের হোতা। এমনকী, যে নৌকা করে তাঁকে ডোমিনিকায় আনা হয়েছিল, সেখানে তিন জন ভারতীয় ছিলেন বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। মেহুলের এহেন অভিযোগের ফলে শিরোনামে চলে এসেছেন ওই সুন্দরী। তিনি নাকি ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থার এজেন্ট! এমন জল্পনাও ছড়িয়েছে বাজারে। গুজবে ধুনো দেয় অ্যান্টিগার প্রধানমন্ত্রী গ্যাস্টন ব্রাউনের মন্তব্য। অপহরণ কাণ্ডের পর তিনি বলেছিলেন, “বান্ধবী বারবারার সঙ্গে ভাল সময় কাটাতে নিজেই ডোমিনিকা চলে গিয়েছেন মেহুল।” ফলে জল্পনার রস কল্পনার কড়া পাকে ‘ষড়যন্ত্র’ তত্বে বিশ্বাসীদের কাছে রীতিমতো উপাদেয় হয়ে উঠেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.