Advertisement
Advertisement

Breaking News

Mayanmar

বন্দুকের সামনে বুক পেতে দাঁড়ালেন সন্ন্যাসিনী, হৃদয় মোচরানো মায়ানমারের ছবি ভাইরাল

বন্দুকের নল হার মানল মানবিকতার কাছে।

Mayanmar nun defies soldiers to protect child | Sangbad Pratidin
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:March 10, 2021 11:06 am
  • Updated:March 10, 2021 11:06 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সামনে দাঁড়িয়ে অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত মায়ানমারের সেনা। তাদের সামনে ধূলিধূসরিত পথে হাঁটু মুড়ে বসে এক খ্রিস্টান সন্ন্যাসিনী। ছড়ানো দু’হাত। কাতর আরজি, ‘‘শিশুদের ছেড়ে দাও। তার বদলে আমাকে মারো।” সাদা পোশাকের ওই ক্যাথলিক নান (Nun), সিস্টার অ্যান রোজ নু তাং-এর এই ছবি বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। শুধু তাই নয়, মায়ানমারে (Mayanmar) সেনা নৃশংসতার (Junta) বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে ছবিটি।

মঙ্গলবার সংবাদ সংস্থা এএফপি-কে সিস্টার অ্যান বলেন, শিশুদের উপর যাতে অত্যাচার না হয়, গুলি না চালায়, সে জন্য ওদের অনুরোধ করেছিলাম। বলেছিলাম, তার বদলে ওরা আমাকে হত্যা করতে পারে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরও দুই সন্ন্যাসিনী। সোমবার মায়ানমারের মাইতকাইনা শহরে ওই সিস্টারের এই সাহসিকতা বৌদ্ধপ্রধান দেশটির তো বটেই, গোটা বিশ্বের প্রশংসা আদায় করে নিয়েছে। উল্লেখ্য, গত ১ ফেব্রুয়ারি আচমকাই অভ্যুত্থান ঘটিয়ে গণতান্ত্রিক পথে নির্বাচন আং সান সু কি সরকারের পতন ঘটায় সামরিক জুন্টা। কর্তৃত্ব নেয় নিজেদের হাতে। তার পর থেকেই গণতন্ত্র ফেরানোর দাবিতে প্রতিবাদে উত্তাল মায়ানমার। পাল্টা কড়া হাতে আন্দোলন দমন করছে সেনা প্রশাসন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ড্যানিয়েল পার্লের হত্যাকারী ওমর শেখকে মুক্তি দিল পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট]

এখনও পর্যন্ত সেনার গুলিতে ৬০ জনের বেশি মৃত্যু হয়েছে। কাঁদানে গ্যাস, জলকামান, রবার বুলেটের আঘাতেও অনেকে আহত হয়েছেন। সিস্টার অ্যান জানান, প্রতিবাদীদের তাড়া করেছিল সেনা। শিশুদের নিরাপত্তার কথা ভেবে তিনি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। সেনার কাছে আর্জি জানান। কিন্তু তার পরেই গুলি চালাতে শুরু করে সেনা। ভয় পেয়ে শিশুরা সামনের দিকে ছুটে যায়। আতঙ্কিত সিস্টার প্রার্থনা করা ছাড়া কিছুই আর করতে পারেননি। তাঁর মনে হচ্ছিল, পৃথিবীটা যেন ভেঙে টুকরো হয়ে যাচ্ছে। ঘটনাস্থলেই দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছে, ২৮ ফেব্রুয়ারিও সিস্টার অ্যান একইভাবে পুলিশের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। সেদিন থেকেই তিনি নিজেকে ‘মৃত’ বলে মনে করেন। তাঁর কথায়, “গোটা মায়ানমার কাঁদছে। এই অবস্থায় আমি হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারি না।”

[আরও পড়ুন: এবার ইউরোপের আরও এক দেশে নিষিদ্ধ বোরখা, হিজাবের মতো মুখঢাকা পোশাক]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement