ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুলওয়ামা হামলা হয়েছে জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের নির্দেশে। জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে সরঞ্জাম দিয়েছে আইএসআই। এসবই জানা কথা। তবে পর্দার আড়ালে থেকে নাটের গুরু আদতে আজহারের ছোট ভাই মৌলানা আবদুল আসগর রউফ। গোয়েন্দা সূত্রে মিলছে এমনই চাঞ্চল্যকর খবর।
ইন্টেলিজেন্স এজেন্সিগুলির একাংশের দাবি, প্রায় ছয় বছর ধরে দেখা যায়নি মৌলানা আজহারকে। পাক-অধিকৃত কাশ্মিরে যে জঙ্গিরা প্রশিক্ষণ নিচ্ছে তারাও নাকি দেখা পায়নি জইশ প্রধানের। কার্যত শয্যাশায়ী ষাট ছুঁই ছুঁই মোস্ট ওয়ান্টেড এই জঙ্গি নেতা। তার দুটি কিডনিই বিকল। পাকিস্তানের একটি হাসপাতালে চলছে তার চিকিৎসা। যদিও সবটাই চলছে তার নামে। কিন্তু হাতেকলমে জঙ্গি দলটির কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করছে মৌলানা আবদুল আসগর রউফ। পুলওয়ামাতেই গত আগস্ট মাসের আত্মঘাতী হামলা এবং ১৪ ফেব্রুয়ারি কনভয়ে হামলার নেপথ্যে রয়েছে সেই। এছাড়াও পাঠানকোটে বায়ুসেনা ঘাঁটি হামলা থেকে শুরু করে নাগরোটা সেনা ছাউনিতে ফিদায়েঁ হামলাও হয়েছে রউফের নির্দেশে।
জানা গিয়েছে, ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে জইশের রাশ রয়েছে রউফের হাতে। ১১ জন ভাইবোনের মধ্যে ছোট রউফ দাদার হাত ধরেই নাম লেখায় তালিবান শিবিরে। দীর্ঘদিন সে ‘মুজাহিদ’ হিসেবে আফগানিস্তানে সোভিয়েত সেনার সঙ্গে লড়েছে। নিজে যেমন বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ তেমনই যে কোনও অপারেশনের ছক তৈরিতেও তার দক্ষতা রয়েছে। গোয়েন্দাদের দাবি, আই সি-৮১৪ বিমান ছিনতাইয়ে নেতৃত্ব দিয়েছিল মাসুদেরই এক ভাই আর গোটা পরিকল্পনা ছিল রউফের। উল্লেখ্য, পুলওয়ামার অপরাধী কে বা কারা? এনিয়ে চলছে চুলচেরা তদন্ত। পরতে পরতে রহস্যের জট খুলতেই বেরিয়ে আসছে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। বিশ্লেষণ চলছে ‘ইন্টেলিজেন্স ফেলিওর’ থেকে শুরু করে ‘সর্ষের মধ্যেই ভূত’ থিওরি নিয়ে। তবে কোথাও যে খামতি ছিল, তা স্পষ্ট। সূত্রের খবর, বহুদিন আগেই কষে ফেলা হয়েছিল পুলওয়ামা হামলার ছক।
[‘এক চড়েই শিউরে উঠেছিল মাসুদ আজহার’, দাবি প্রাক্তন গোয়েন্দার]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.