সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাসুদ আজহারের সঙ্গে পরিকল্পনা করে ভারতে নাশকতার ছক কষছে পাকিস্তান। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে এই রিপোর্টই জমা দিয়েছেন ভারতীয় গোয়েন্দারা। সন্ত্রাসবাদের আর্থিক মদতদাতাদের উপর কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে আন্তর্জাতিক নজরদারি সংস্থা FATA-র তরফে। ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস এই বিষয়ে একটি সম্মেলনে হতে চলেছে। তার ঠিক আগে পাকিস্তানের তরফে দাবি করা হয়েছিল জইশ প্রধান মাসুদ আজহারকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু, এই কথা সম্পূর্ণ মিথ্যে বলে জানানো হয়েছে ভারতীয় গোয়েন্দাদের তরফে।
তাঁদের দাবি, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ও গুপ্তচর সংস্থা ISI-এর উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা মাসুদ আজহার ও তার পরিবারকে পাকিস্তানের বাহাওয়ালপুর-করাচি রোডে অবস্থিত জইশের নতুন হেডকোয়ার্টারে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। মারকাজ উসমা-ও-আলি এলাকায় নতুন গড়ে ওঠা জইশের ওই ঘাঁটিতে নিরাপদে থেকে ভারতে নাশকতার ছক কষছে মাসুদ। এই বিষয়ে তাকে পুরোপুরি সাহায্য করছে পাকিস্তানের সেনা ও গুপ্তচর সংস্থা ISI। এমনকী পর্যাপ্ত নিরাপত্তরক্ষীদের নিয়ে বাহাওয়ালপুর ও খাইবার পাখতুনখোয়া এলাকায় থাকা বাড়িগুলিতে রীতিমতো যাতায়াত করছে মাসুদ ও তার পরিবারের সদস্যরা।
সোমবার পাকিস্তানের অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রী হামাদ আজহার জানান, মাসুদ আজহার ও তার পরিবারের লোকেরা দেশ থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে। তাই প্রশাসনের পক্ষে তার বিরুদ্ধে এফআইআর করা সম্ভব হয়নি। যদিও তাঁর এই দাবি মানতে চায়নি কেউই। আন্তর্জাতিক নজরদারি সংস্থাগুলির তরফেও সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছিল এই বিষয়ে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রায় ২০ বছর আগে কান্দাহারে একটি ছিনতাই হওয়া ভারতীয় বিমানের যাত্রীদের জীবনের বিনিময়ে মাসুদ আজহারকে কাশ্মীরের জেল থেকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিল ভারত। তারপর পাকিস্তানে গিয়ে মাসুদ আজহার জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি সংগঠনের প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর থেকে ভারতে বহু জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা করেছে সে। যার মধ্যে সবথেকে উল্লেখযোগ্য হল, গত বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামার অবন্তীপোরায় সিআরপিএফ কনভয়ের উপর হওয়া জঙ্গি হামলার ঘটনা। আত্মঘাতী ওই হামলার ফলে শহিদ হয়েছিলেন ৪০ জন জওয়ান। যার বদলা নিতে পাকিস্তানের বালাকোটের জইশ ক্যাম্পে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে ভারতীয় বায়ুসেনা। শুধু তাই নয়, আন্তর্জাতিক মহলে চাপ সৃষ্টি করে মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী হিসেবে ঘোষণাও করানো হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.