সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে অতিমারী চলাকালীন করোনা সংক্রান্ত তথ্য গোপন রাখতে এবং পোস্ট মুছে ফেলতে মেটার উপর চাপ সৃষ্টি করেছিল জো বাইডেন সরকার। নির্বাচনী আঁচে পুড়তে থাকা আমেরিকায় এবার জো বাইডেন সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন মেটা কর্তা মার্ক জুকারবার্গ। তাঁর আরও দাবি, সরকারের চাপে সেই সময় এক বছরে ২০ মিলিয়ন পোস্ট মুছে ফেলতে বাধ্য হয় তাঁরা। এই ঘটনা বাক স্বাধীনতার উপর আক্রমণ বলে সরব হয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টি।
সম্প্রতি এক চিঠিতে জুকারবার্গ এই ইস্যুতে লেখেন, ‘২০২১ সালে অতিমারি চলাকালীন বাইডেন প্রশাসনের এক বরিষ্ঠ আধিকারিক ও হোয়াইট হাউসের বেশ কিছু কর্মী আমাদের উপর লাগাতার চাপ সৃষ্টি করে। তাঁদের দাবি ছিল, কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সবরকম পোস্ট সরিয়ে ফেলতে হবে। এমনকি নিতান্ত কৌতুক ও ব্যাঙ্গাত্মক মন্তব্যও সরিয়ে ফেলতে নির্দেশ দেওয়া হয়।’ একইসঙ্গে মেটা কর্তা বলেন, ‘এটা ঠিক যে এই বিষয়ে শেষ সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার আমাদেরই ছিল, তবে তাও বাইডেন-হ্যারিস সরকার আমাদের উপর অন্যায়ভাবে চাপ তৈরি করে। এবং দুঃখের সঙ্গেই জানাচ্ছি, সেই সময় আমরা এর তেমন জোরালো বিরোধিতা করিনি।’
বলার অপেক্ষা রাখে না আমেরিকায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রাক্কালে মেটা কর্তার এহেন দাবি মার্কিন রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টি এই ঘটনাকে বাক স্বাধীনতার উপর সরাসরি আক্রমণ বলে অভিযোগ তুলেছে বাইডেন সরকারের বিরুদ্ধে। জুকারবার্গের সেই চিঠি তুলে ধরে এক্স হ্যান্ডেলে রিপাবলিকান পার্টি লিখেছে, ‘জুকারবার্গ তিনটি বিষয় স্বীকার করে নিয়েছেন, ১. বাইডেন ও হ্যারিস প্রশাসন আমেরিকানদের ‘সেন্সর’ চাপ দিয়েছিল ফেসবুককে। ২. তাদের কাছে মাথানত করে ফেসবুক আমেরিকাবাসীকে ‘সেন্সর’ করে। ৩. বাইডেনের ‘ল্যাপটপ স্টোরি’র গলা চেপে ধরেছে ফেসবুক। এটা বাকস্বাধীনতার পক্ষে বড় জয়।’
উল্লেখ্য, লকডাউন, ভ্যাকসিন, মাস্ক পরা সংক্রান্ত বহু পোস্ট সরিয়ে ফেলায় সেই সময়ে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল মেটাকে। ভাইরাস সংক্রান্ত মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগ তুলে সেই সব পোস্ট মুছে ফেলা হয়। সংস্থার দাবি ছিল, তাদের নিয়মাবলী লঙ্ঘন করার অভিযোগে ওই সব পোস্ট মুছে ফেলা হয়েছে। জানা যায়, সেই সময় ফেসবুক এক বছরে ২০ মিলিয়ন পোস্ট মুছে ফেলে। এমনকি একাধিক শীর্ষ নেতার পোস্টও মুছে ফেলা হয়। এই ঘটনা শুধু আমেরিকা নয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশেও ঘটে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.