সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার পাকিস্তানে সরকারি ভাষার তালিকায় স্থান পেল মান্দারিন। সোমবার চিনা রাষ্ট্রভাষাকে এই স্বীকৃতি দেয় পাক সেনেট। ইসলামাবাদ ও বেজিংয়ের মধ্যে বন্ধুত্বকে আরও মজবুত করে তুলতে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানায় সেনেট।
পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এদিন মান্দারিনকে সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য একট ‘মোশন’ আনা হয় পাক সেনেটে। বলা হয় ‘চিন পাকিস্তান ইকোনমিক করিডর-এর'(CPEC) ফলে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে। তাই মান্দারিনের ভাষাকে স্বীকৃতি দিয়ে দু’দেশের মানুষের মধ্যে সংযোগ বাড়িয়ে তোলা হবে। তবে এই পদক্ষেপ উসকে দিয়েছে বিতর্ক। মান্দারিনের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আমেরিকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত হুসেন হাক্কানি। টুইটারের মাধ্যমে এই পদক্ষেপের বিরোধিতায় সরব হয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, “৭০ বছরের ইতিহাসে চারটি বিদেশি ভাষা-ইংরেজি, উর্দু, আরবি ও চিনা নিয়ে মাতামাতি করেছে পাকিস্তান। কিন্তু দেশের বহুলসংখ্যক মানুষ যে ভাষায় কথা বলে তা নিয়ে উদাসীন রয়েছে সরকার।” সরকারকে একহাত নিয়ে এদিন হাক্কানি আরও বলেন, মান্দারিনকে নিয়ে মাতামাতি করলেও পাঞ্জাবি ভাষাকে আজ পর্যন্ত সরকারি ভাষার স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি।
[‘CPEC’ প্রকল্পে আঘাত হানতে তৈরি ‘RAW’, অভিযোগ পাকিস্তানের ]
পাক সংবাদপত্র ডন-এর মতে, মান্দারিন ভাষার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে পাকিস্তানিদের মধ্যে। চিনা ভাষাটি জানা থাকলে চাকরি পাওয়া সহজ হবে বলেই মনে করছেন তাঁরা। তবে চিনা ভাষার প্রসার নিয়ে বিরোধিতার সুরও শোনা যাচ্ছে। কূটনীতিবিদদের একাংশের দাবি, ‘সিপিইসি’ প্রকল্প ও দেশের পরিকাঠামোয় চিনা হস্তক্ষেপ নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে শাসকদলের অন্দরে। গত বছরই পাক অধিকৃত কাশ্মীরে একটি বাঁধ নির্মাণের একটি চিনা প্রকল্প আটকে দেয় পাকিস্তান। তারপর বেজিং-ইসলামাবাদের মধ্যে কিছুটা চাপানউতোর হলেও। দ্রুত পরিস্থিতি সামলে নেই দুই দেশ। চিন এখন সিপিইসি-কে প্রসারিত করার পরিকল্পনাকে মাথায় রেখে পাক-আফগান আলোচনায় সহায়ক ভূমিকা নিতে তৎপর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.