সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খাবারের জন্য হাহাকার পাকিস্তানে (Pakistan)! এক বস্তা আটা পেতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লরির পিছনে ছুটছেন পাক নাগরিকরা। কেউ বাইকে চেপে, কেউ বা হেঁটেই ধাওয়া করছেন লরি। কেউ কেউ আবার লরির পিছনে উঠে আটা ভরতি বস্তা জোর করে নামিয়ে আনতে ব্যস্ত। সদ্যই এই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর তা থেকেই স্পষ্ট কোন অবস্থায় বাস করছেন পাকিস্তানের বাসিন্দারা!
ন্যাশনাল ইকুয়ালিটি পার্টি জম্মু কাশ্মীর গিলগিট বালটিস্তান অ্য়ান্ড লাদাখ দলের চেয়ারম্যান অধ্য়াপক সাজ্জাদ রাজা ভিডিওটি পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। টুইটারে লেখেন, “এটা কোনও মোটর সাইকেল যাত্রা নয়। একবস্তা আটা পাওয়ার আশায় পাকিস্তানের মানুষজন আটা ভরতি লরির পিছনে ধাওয়া করছে।” সঙ্গে তাঁর আরও সংযোজন, “পাকিস্তানে আমাদের কোনও ভবিষ্যৎ আছে? পাকিস্তানে যা ঘটছে এটা তার সামান্য ঝলক মাত্র।” কাশ্মীরের মানুষের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, “জম্মু কাশ্মীরের মানুষ ভাগ্য়বান। তাঁরা এখনও নিজেদের সিদ্ধান্ত নিজেরা নিতে পারেন।”
সাজ্জাদ রাজার পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, আটা ভরতি লরির পিছনে বাইকে চেপে যাচ্ছে বহু মানুষ। অনেকে হেঁটে এসেছেন। আশা একটাই, একবস্তা আটা কেনা। এক ব্যক্তিকে এগিয়ে গিয়ে টাকার বিনিময়ে আটা চাইতেও দেখা গিয়েছে। কিন্তু মেলেনি।
This isn’t a motorcycle rally, ppl in #Pakistan are desperately chasing a truck carrying wheat flour, hoping to buy just 1 bag. Ppl of #JammuAndKashmir should open their eyes. Lucky not to be #Pakistani & still free to take decision about our future. Do we have any future with🇵🇰? pic.twitter.com/xOywDwKoiP
— Prof. Sajjad Raja (@NEP_JKGBL) January 14, 2023
উল্লেখ্য, মুদ্রাস্ফীতি, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আকাশ ছুঁয়েছে পাকিস্তানে। বেহাল দশা আমজনতার। রান্নার গ্যাস, ভোজ্য তেল অমিল ইসলামাবাদে। এবার আটার জন্য় হাহাকারও চোখে পড়ল সে দেশে। জানা গিয়েছে, ১৫ কেজির আটার বস্তার দাম ১৫০ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫০ টাকা। দু’সপ্তাহের মধ্য়ে আটার দাম বেড়েছে ৩০০ টাকা। পাক সংবাদমাধ্যম ডন-এ প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, সে দেশে পাম তেল, সোয়াবিনের তেল ও সানফ্লাওয়ার তেলের জোগানে ঘাটনি দেখা দিয়েছে। মিলছে না রান্নার তেলও। ব্যবসায়ীদের কাছে মজুত তেলভাণ্ডারেও টান পড়বে শীঘ্রই। অথচ এগুলি সে দেশের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের তালিকায় নাম রয়েছে এই তিন তেলের। তারপরেও চাহিদামতো জোগানে ঘাটতি দেখা গিয়েছে। যার জেরে শাহবাজ শরিফের সরকারের ভূমিকা ঘিরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.