Advertisement
Advertisement
মাদার টেরেজার সহযোগী

বচসার জেরে মাদার টেরেজার প্রাক্তন সহযোগীকে খুন, যাবজ্জীবন ধৃতের

১৯৯০ সালে কলকাতায় এসে মাদার টেরেজার সঙ্গে কাজ করেছিলেন মৃত ব্যক্তি।

Man jailed for murder of Mother Teresa’s ex-assistant in UK

ধৃত কলিন পায়েন

Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:December 7, 2019 4:43 pm
  • Updated:December 7, 2019 7:00 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৯৯০ সালে কলকাতায় এসে মাদার টেরেজার সঙ্গে মানুষের মঙ্গলের কাজে হাত লাগিয়ে ছিলেন ইংল্যান্ডের মার্ক ব্লুমফ্লিড। ভারতের বিভিন্ন জায়গায় মেয়েদের স্কুল খোলার বিষয়ে উল্লেখযোগ্য
অবদানও রেখেছিলেন। পরে ভারত ও আফ্রিকার বিভিন্ন জায়গায় সমাজসেবামূলক বিভিন্ন কাজের লিপ্ত হয়ে পড়েন। কিন্তু, তখন ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারেননি মাত্র ৫৪ বছর বয়সে তুচ্ছ একটি কারণে এক বৃদ্ধের হাতে আক্রান্ত
হতে হবে তাঁকে। কোমায় কাটাতে হবে দেড় বছরের বেশি সময়। ২০১৮ সালের জুলাই মাসে ঘটনাটি ঘটেছিল ইংল্যান্ডের ওয়েলসে, সোয়ানসি ক্রাউন কোর্ট এলাকায়। দুদিন আগে কোমায় থাকাকালীন হাসপাতালেই মৃত্যু হয়
ব্লুমফ্লিডের। আর এর মধ্যেই এই ঘটনায় দোষীসাব্যস্ত হওয়া কলিন পায়েন (৬১)-কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল আদালত।

[আরও পড়ুন: “কেউ আমাকে ছুঁতে পারবে না”, নিজের ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ থেকে ভারতকে কটাক্ষ নিত্যানন্দর]

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালের জুলাই মাসে সোয়ানসির একটি পাবে গিয়েছিলেন মার্ক ব্লুমফ্লিড। সেখানে কলিন পায়েনের প্রেমিকার পিছনে তিনি বিয়ার ক্যান দিয়ে স্পর্শ করেন বলে অভিযোগ। আর এর জন্য ব্লুমফ্লিডকে শিক্ষা দিতে বেধড়ক মারধর করে কলিন। কংক্রিটের মেঝেতে ফেলে ক্রমাগত লাথি মারার পাশাপাশি মাথায় আঘাত করে। মারধরের চোটে ঘটনাস্থলেই অচৈতন্য হয়ে পড়েন ব্লুমফ্লিড। পরে সেই অবস্থাতেই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে এসে ভরতি করা হয়। গত দেড় বছর সেখানে ভরতি থাকার পর দুদিন আগে মৃত্যু হয় তাঁর।

Advertisement

[আরও পড়ুন: প্রকাশ্যে গুলি থেকে পুরুষাঙ্গ ছেদ, অন্যান্য দেশে আরও কঠোর শাস্তি পেতে হয় ধর্ষকদের]

মৃতের পরিবারের তরফে একটি শোকবার্তা প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে তারা উল্লেখ করেছে, মানুষের ভালর জন্য নিজের পুরো জীবন অতিবাহিত করেছেন মার্ক ব্লুমফ্লিড। মাদার টেরেজার বিশেষ সহযোগী হিসেবে কলকাতাতে কাজও করেছেন। মাদারের স্কুল সংক্রান্ত কাজকর্মে উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে তাঁর। এছাড়া ভারতে ছানি কাটানোর শিবির ও মেয়েদের শিক্ষার জন্য স্কুল খুলেছিলেন। আফ্রিকাতেও চোরাশিকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেছেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement