Advertisement
Advertisement
Mamata Banerjee at Oxford University

‘এত প্রাণশক্তি কোথা থেকে পান?’ অক্সফোর্ডে মমতার উদ্যম নিয়ে প্রশ্ন সঞ্চালকদের

অক্সফোর্ডে মমতার গলায় 'চিত্ত যেথা ভয়শূন্য'।

Mamata Banerjee wants a Oxford University campus in Kolkata
Published by: Paramita Paul
  • Posted:March 27, 2025 7:11 pm
  • Updated:March 28, 2025 2:26 am  

আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে আজ অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বক্তব্য রাখবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিরোনাম ‘সামাজিক উন্নয়ন- বালিকা, শিশু এবং নারীর ক্ষমতায়ন’। বাংলায় নারী ক্ষমতায়ন নিয়ে তিনি কী বলেন তা শুনতে মুখিয়ে ছিল দর্শকরা। গ্রাউন্ড জিরো থেকে পুঙ্খানুপুঙ্খ খবরে মুখ্যমন্ত্রীর সফরসঙ্গী কুণাল ঘোষ এবং কিংশুক প্রামাণিক।

রাত ১২.১০: লন্ডনে দাঁড়িয়ে কলকাতায় অক্সফোর্ডের ক্যাম্পাস করার আবেদন জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। ভারতের সাংস্কৃতিক রাজধানীতেই তৈরি হবে ঐতিহ‌্যমণ্ডিত বিশ্ববিদ‌্যালয়ের ক‌্যাম্পাস। এমনই আর্জি রাখলেন মুখ‌্যমন্ত্রী মমতা বন্দে‌্যাপাধ‌্যায়। জানিয়ে দেন, আমাদের পড়ুয়ারা তৈরিই আছে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ‌্যালয়ের কেলগ কলেজের ‘দ‌্য হাব’ প্রেক্ষাগৃহে আলাপচারিতার একদম শেষ পর্যায়ে এসে ফের কর্তৃপক্ষের কাছে এই আবেদন রাখেন। 

Advertisement

রাত ১২.০৫: ভারতের অর্থনীতি উন্নতি নিয়ে প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীকে। তাঁর কথায়, “এটা অভ্যন্তরীণ বিষয়। বিষয়টা নিয়ে আমার ভিন্নমত আছে। সবটা বলা যায় না। করোনার পর সকলেই অর্থনৈতিক সমস্যার সম্মুখীন।”  

রাত ১২.০৩: ভারতের ভবিষ্যত কীভাবে দেখেন? মমতার উত্তর, “এবিষয়ে আমার বলা ঠিক নয়। তবে দেশের নাগরিক  হিসেবে ভারতের উন্নতি চাই।” 

রাত ১১.৫৯: সভায় ফের বাম আমলকে নিশানা মুখ্যমন্ত্রী। পূর্বতন সরকার বিরাট ঋণের বোঝা চাপিয়ে গিয়েছে।

রাত ১১.৫৭: সঞ্চালকদের প্রশ্ন, “১৩০টির বেশি বই লিখে ফেলেছেন। আপনি এতো অফুরন্ত প্রাণশক্তি পান কোথা থেকে?” বললেন, “মা-মাটি মানুষ থেকে। আমার পদবি ব্যানার্জি। অপোজিট অফ এনার্জি। 

রাত ১১.৫৬: সভায় বিশৃঙ্খলা নিয়ে ক্ষমা চাইলেন সঞ্চালকরা। 

রাত ১১.৫৫: রবার্ট ফ্রস্টের ‘মাইলস টু গো’ কবিতা দিয়ে বক্তব্য শেষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী।

রাত ১১.৫৪: অক্সফোর্ডে মমতার গলায় ‘চিত্ত যেথা ভয়শূন্য’। যুদ্ধের পৃথিবীতে শান্তির বার্তা। 

রাত ১১.৫১: অক্সফোর্ডের ক্যাম্পাস হোক কলকাতায়। আবেদন মমতার। বললেন, “ভারতের শুরুটা হোক কলকাতা থেকে।” জানিয়ে দেন, আমাদের পড়ুয়ারা তৈরিই আছে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ‌্যালয়ের কেলগ কলেজের ‘দ‌্য হাব’ প্রেক্ষাগৃহে আলাপচারিতার একদম শেষ পর্যায়ে এসে কর্তৃপক্ষের কাছে এই আবেদন রাখেন।

রাত ১১.৪২: প্রশ্নকর্তাদের মমতা বললেন, “এটা রাজনীতির মঞ্চ বানাবেন না। বাংলায় যান নিজের দলকে শক্তিশালী করুন।” নিজের পুরনো আহত অবস্থার ছবি দেখিয়ে বলেন, “এটা নাটক নয়। আপনাদের দল এটা করেছে। এটা এদের অভ্যাস। কোনওদিন বদলাবে না।” সমালোচকদের ‘বাম-অতি বাম’ বলেও উল্লেখ করলেন তিনি। 

রাত ১১.৪০: প্রশ্ন ধেয়ে এল আর জি কর নিয়েও। সাফ জানালেন, “এটা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তনাধীন। কেন্দ্র দেখছে। বিচারাধীন বিষয়। আমাদের কিছু জিজ্ঞেস করবেন না।”

রাত ১১.৩৭: বাংলা ছেড়ে টাটা মোটরসের চলে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীকে। ধৈর্য ধরে উত্তর দিলেন মমতা। প্রশ্নকর্তাকে বললেন, “আমি মিথ্যা বলছি না। ঠিক মতো জেনে তারপর বলুন। বাংলায় টাটার কগনিজেন্ট আছে।”  তিনি আরও বলেন, “এটা গণতন্ত্র। সকলের প্রশ্ন করার অধিকার আচে। আপনাদের বিরোধিতায় আমি উৎসাহ পাই।” বিনিয়োগ নিয়েও পরের পর প্রশ্ন ধেয়ে এল। 

রাত ১১.৩৫: কর্মসংস্থানের গেটওয়ে কলকাতা। চাকরির গন্তব্য কলকাতা: মমতা

রাত ১১.৩২: ১ কোটি ৭৫ লক্ষ মানুষ দারিদ্র্যরেখার উপরে উঠে এসেছে: মমতা

রাত ১১.২৯: স্বাস্থ্যসাথী থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, নারীকল্যাণে রাজ্য সরকারের প্রকল্পের জয়গান মুখ্যমন্ত্রীর।

রাত ১১.২৭: বাংলার সব পড়ুয়াদের জন্য স্কলারশিপের ব্যবস্থা রয়েছে। কন্যাশ্রীকে রাষ্ট্রসংঘ পুরস্কৃত করেছে: মমতা।

রাত ১১.২৫: ৯৯.৯৯ শতাংশ এখন প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব। আগে ছিল মাত্র ৩৩ শতাংশ: মমতা।

রাত ১১.২৪: স্কুল ড্রপ আউট কমে দাঁড়িয়েছে ২ শতাংশ। এটা শূন্যে পৌঁছে যাবে: মমতা। 

রাত ১১.২৩: শিক্ষকদের ছাড়া আমাদের চলবে। তাঁদের ধন্যবাদ। বললেন মুখ্যমন্ত্রী। 

রাত ১১.১৯: মুখ্যমন্ত্রীর কথায়,  বাংলা বিবেকনন্দর রাজ্য। ঐক্য ধরে রাখা ভিষণ কঠিন। ভাগ করা সহজ। বাংলায় কোনও বৈষম্য নেই। বাংলা মা-মাটি-মানুষের রাজ্য়। 

রাত ১১.১৮: গুজরাট ধনী রাজ্য। কিন্তু সেখানে লোকসংখ্যা বাংলার এক চতুর্থাংশ। ১১ কোটি মানুষের বাস বাংলায়। ৩৩ শতাংশ সংখ্যালঘু। তাঁদের মধ্যে মুসলিমের পাশাপাশি খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, জৈন আছে। বহু আদিবাসীও আছে। তফসিলি জনসংখ্যা ৩৩ শতাংশ। 

রাত ১১.১৭: চাকরি থেকে শিক্ষা, ভিনরাজ্যের বহু মানুষ বাংলাকে তাঁদের বানিয়ে  নিয়েছে। জানালেন মমতা।  

রাত ১১.১৫: করোনার পর ধাক্কা খেয়েছে অর্থনীতি। গরিব ছাত্রদের পাশে দাঁড়িয়েছি। তাঁধের স্কলারশিপের ব্যবস্থা করেছি।  জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। 

রাত ১১.১৪: ন’বছরে বাবাকে হারিয়ে লড়াই শুরু। বিরোধী হয়ে প্রচুর লড়াই করেছি। রেল-কয়লা-নারী ও সমাজ কল্যাণ এবং ক্রীড়ামন্ত্রী ছিলাম। বললেন মমতা। 

রাত ১১.১০: তুমুল করতালির মধ্যে শুরু মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণ। শুরুতেই 

রাত ১১.০৫: সভা শুরু। মঞ্চে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর কিছুক্ষণের মধ্যে বালিকা, শিশু এবং নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে বক্তব্য রাখবেন। 

রাত ১০.৩০: কেলগ কলেজে মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে পড়ুয়াদের ভিড়। তাঁর সঙ্গে কথা বলতে আগ্রহী সকলেই।

কেলগ কলেজে মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে পড়ুয়াদের ভিড়।

 

রাত ১০.০০: অক্সফোর্ডের বিশ্ববিদ্য়ালয়ে শিক্ষাবিদ ও অধ্যাপকদের সঙ্গে আলোচনায় চক্রে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী। চা চক্রে বাংলার বদল, সামাজিক উন্নয়ন, প্রশাসন নিয়ে কথোপকথন হয়। 

অক্সফোর্ডের বিশ্ববিদ্য়ালয়ে শিক্ষাবিদ ও অধ্যাপকদের সঙ্গে আলোচনায় চক্রে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী।

 

রাত ৮.২১: ইন্ডিয়ান ইন্সিটিউট থেকে কেলগ কলেজে যাচ্ছেন মমতা। পথে গাড়ি থেকে নেমে যোগ দিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।

Mamata Banerjee Oxford University LIVE UPDATE: Sourav Ganguly meets WB CM
বিশ্ববিদ্যালয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গী সৌরভও। নিজস্ব চিত্র

রাত ৮.১২: অক্সফোর্ডে পৌঁছলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে।

সন্ধ্যা ৭.৩০: অক্সফোর্ডের তরফে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দ্রষ্টব্য স্থান ঘুরে দেখানো হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। হ্যারি পটারের শুটিং হলে মুখ্যমন্ত্রী। 

হ্যারি পটারের শুটিং হলে মুখ্যমন্ত্রী। নিজস্ব চিত্র

 

সন্ধ্যা ৭.০৫: বিশ্রামের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে যাওয়া হয় র‌্যান্ডলফ হোটেলে। তার লবিতেই রাখা ছিল শতাব্দী প্রাচীন পিয়ানো। ১৮৮৭ সালের প্রাচীন পিয়ানোতে ‘প্রাণ ভরিয়ে, তৃষা হরিয়ে’, ‘উই শ্যাল ওভারকাম’, ‘পুরানো সেই দিনের কথা’ সুর ধরলেন মমতা।

 

 

সন্ধ্যা ৭.০০: অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পৌঁছতেই তাঁকে ফুলের স্তবক দিয়ে স্বাগত জানানো হল। এই ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন বহু প্রখ্যাত ভারতীয়। তালিকায় রয়েছেন ইন্দিরা গান্ধী, মনমোহন সিং, অমিতাভ ঘোষ, মনসুর আলি খান পতৌদি, বিক্রম শেঠ, গিরীশ করনাড-রা। ঐতিহ্যের অক্সফোর্ডের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে অস্কার ওয়াইল্ড, টলকিনদের মতো সাহিত্য জগতের মহারথীদের নাম। 

অক্সফোর্ডে পৌঁছনোর পর মুখ্যমন্ত্রীকে পুষ্পস্তবক দিয়ে স্বাগত জানান স্কলার শাহওনাজ আলি রায়হান। নিজস্ব চিত্র

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
News Hub