সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুকুমার রায়ের ‘আশ্চর্য কবিতা’ মনে আছে?
সেই যে গল্পে স্কুলে আসা এক নতুন ছেলের কবিতা বাতিক ছিল! যার মাথা থেকে বেরিয়েছিল, “বৃক্ষ হ’তে দ্রাক্ষাফল ভক্ষণ করিতে/ লোভী শৃগাল প্রবেশ করে দ্রাক্ষাক্ষেতে/কিন্তু হায় দ্রাক্ষা যে অত্যন্ত উচ্চে থাকে/শৃগাল নাগাল পাবে কিরূপে তাহাকে?/বারম্বার চেষ্টায় হয়ে অকৃতকার্য/‘দ্রাক্ষা টক’ বলিয়া পালাল ছেড়ে (সেই) রাজ্য-”!
কবিতাটা পুরোটা টুকে দেওয়ার উদ্দেশ্য একটাই- চিনের এই আজব ফলাহারের মধ্যেও যে লুকিয়ে আছে দ্রাক্ষাফলের প্রসঙ্গ! তফাত শুধু এই, এখানে ভক্ষণকারী শৃগাল নয়, পুরুষমানুষ! আর দ্রাক্ষাফলটাও উচ্চে নেই, বাঁধা রয়েছে তাঁদের সহকর্মিণীদের বুকের কাছে!
জানি, ছবিটা দেখেই চোখ কপালে উঠেছে! কিন্তু, ঘটনাটা যে সেরকমই! অনেক সংস্থাই কর্মচারীদের মধ্যে সৌহার্দ্য স্থাপনের জন্য নানা মজাদার স্পোর্টসের আয়োজন করে থাকে। কিন্তু, সবাইকে গোল দিয়ে অদ্ভুত হলেও নজির গড়ল চিন! হলফ করে বলাই যায়, এমনটা আর কেউ ভাবেনি!
আশ্চর্য কী, ১৩ সেপ্টেম্বর চিনের একটি ওয়েবসাইটে ঘটনার ভিডিও ফুটেজ প্রকাশিত হওয়ার পরে শোরগোল পড়বে দুনিয়া জুড়ে!
সে ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে এই আজব ফলাহারের ইতিবৃত্ত। সেখানে একজন করে মহিলা আর পুরুষকে নিয়ে গড়ে উঠেছে একটি করে দল। মহিলা-কর্মীদের ঘাড়ের সঙ্গে বেঁধে দেওয়া হয়েছে এক গুচ্ছ আঙুর ফল। যা তাঁদের বুকের কাছে এসে ঝুলছে! আর পুরুষ-কর্মীরা চেষ্টা করে যাচ্ছেন হাত ব্যবহার না করে শুধু মুখ দিয়ে ফল টেনে নেওয়ার! যিনি যত কম সময়ে সবকটা আঙুর খেয়ে ফেলতে পারবেন, তিনিই জিতবেন! সঙ্গে জিতবেন সেই দলে থাকা তাঁর সহকর্মিণীও!
এখনও বিশ্বাস না হলেও নিজেই ব্যাপারটা দেখে নিন নিচের এই ভিডিওয়! হ্যাঁ, সংস্থার কিছু পুরুষ-কর্মীর অবশ্যই মনে হয়েছে ‘দ্রাক্ষা টক’! ওই ‘অকৃতকার্য’ হওয়ার জন্যই! তবে বিজয়ী-জুটির ক্ষেত্রে যে সেটা সত্য নয়, তা আর না বললেও চলে!
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.