সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত এক মাসে ভারতের সঙ্গে মালদ্বীপের সম্পর্কের যথেষ্ট অবনতি হয়েছে। রেকর্ড হারে ভারতীয় পর্যটক কমতে শুরু করেছে দ্বীপরাষ্ট্রটিতে। অন্তর্বর্তী বাজেটে মালদ্বীপের বরাদ্দ অনুদানে বড়সড় কাটছাঁট করে দিয়েছে কেন্দ্র। সব মিলিয়ে দুদেশের মধ্যে পরিস্থিতি বেশ ঘোরাল। এই আবহে এবার মালদ্বীপকে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী বলে উল্লেখ করল আমেরিকা। সংঘাত আবহে কেন এমন মত ভারতের ‘বন্ধু’র?
গত বছর নভেম্বরেই মালদ্বীপে নতুন সরকার ক্ষমতায় এসেছে। দেশটির নয়া প্রেসিডেন্ট হয়েছেন ‘চিনপন্থী’ মহম্মদ মুইজ্জু। এই নতুন রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার জন্য সম্প্রতি মালদ্বীপ সফরে গিয়েছেন আমেরিকার দক্ষিণ এবং মধ্য এশিয়ায় দায়িত্বে থাকা সহকারী সচিব ডোনাল্ড লু। সেখানে মুইজ্জুর সঙ্গে বৈঠকও করেছেন তিনি। সেই সফর প্রসঙ্গেই সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে ডোনাল্ড লু জানান, “মালদ্বীপের সঙ্গে সহযোগিতা আরও দৃঢ় করতে আমেরিকা আগ্রহী। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলকে মুক্ত, অবাধ ও সুরক্ষিত রাখতে আমেরিকার গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী হয়ে উঠবে মালদ্বীপ।”
জানা গিয়েছে, মালদ্বীপে এখনও পর্যন্ত আমেরিকার কোনও দূতাবাস তৈরি হয়নি। তা তৈরির কাজ চলছে। দূতাবাস দ্রুত গড়ে তোলার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে দুই রাষ্ট্রের। বিশ্লেষকদের মতে, মালে ও নয়াদিল্লির সংঘাত নিয়ে এখনও পর্যন্ত সরসারি কিছু বলেনি ওয়াশিংটন। কিন্তু আমেরিকার এই মন্তব্যের পর ভারত কোনও প্রতিক্রিয়া দেয় কি না সেদিকে এখন নজর সকলের।
উল্লেখ্য, গত জানুয়ারি মাসের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লাক্ষদ্বীপ সফরের পরেই মালদ্বীপ-ভারত সংঘাত তুঙ্গে ওঠে। মোদিকে নিয়ে নানা বিতর্কিত মন্তব্য করেন প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর দলের একাধিক নেতা। এমনকী ভারতের সমুদ্র সৈকতগুলো নোংরা, দুর্গন্ধযুক্ত বলেও কটাক্ষ করেন সেদেশের কয়েকজন নেতা। তার পরই নিন্দার ঝড় ওঠে। গোটা ভারত জুড়ে শুরু হয় ‘বয়কট মালদ্বীপ’। বহু তারকা থেকে সাধারণ মানুষ সোশাল মিডিয়ায় মালদ্বীপের বদলে লাক্ষাদ্বীপে যাওয়ার আহ্বান জানান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.