সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্ষমতায় এসেই দেশ থেকে ভারতীয় সেনা সরানোর ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছিলেন তিনি। তার পর থেকে ভারতের সঙ্গে সংঘাতে জড়ায় মালদ্বীপ। তার মাঝে আগুনে ঘি ঢালার মতো কাজ করে তাঁর সরকারের তিন মন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য। সেই ‘চিনপন্থী’ প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুই উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে। এমনকী তিনি বৈঠকও করেছেন নমোর সঙ্গে। যা খুবই ফলপ্রসু হয়েছে বলেই জানিয়েছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট। পাশাপাশি ভারতের আতিথেয়তায় রীতিমত আপ্লুত তিনি।
ক্ষমতায় আসার পর এটাই ছিল মুইজ্জুর প্রথম ভারত সফর। মালদ্বীপের বিদেশমন্ত্রী মুসা জামির-সহ আরও দুই মন্ত্রীকে নিয়ে ৯ জুন, রবিবার রাষ্ট্রপতি ভবনে উপস্থিত ছিলেন মুইজ্জু। সেখানেই মোদির সঙ্গে দেখা করেন তিনি। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন তাঁরা। এর পর দেশে ফিরে মুইজ্জু জানান, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক ইতিবাচক হয়েছে। আগামিদিনে ভারতের সঙ্গে মালদ্বীপের সম্পর্কের আরও উন্নতি হবে।” এদিন মুইজ্জু কথা বলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর ও দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গেও। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের পর রাষ্ট্রপতি ভবনে নৈশভোজের সময় মোদির পাশের আসনেই বসেছিলেন মুইজ্জু।
বলে রাখা ভালো, নির্বাচন চলাকালীন মে মাসে ভারত সফরে এসেছিলেন মুসা জামির। বৈঠক করেছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের সঙ্গে। সম্পর্কে টানাপড়েনের মাঝেও মালদ্বীপে জরুরি পণ্যের জোগান বজায় রেখেছে ভারত। নয়াদিল্লির এহেন মানবিক পদক্ষেপে রীতিমতো আপ্লুত জামির। অন্যদিকে, ভারতের সঙ্গে সংঘাতে জড়ানোর ফল হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে মালদ্বীপ।
দ্বীপরাষ্ট্রে ভারতীয় পর্যটকের সংখ্যা রেকর্ড হারে কমে গিয়েছে। দিল্লির কাছে ঋণের পরিমাণও বিপুল। এর ফলে ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে দ্বীপরাষ্ট্রের অন্দরে। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে এক অনুষ্ঠানে ভারতকে তাদের ‘ঘনিষ্ঠতম’ সঙ্গী বলে উল্লেখ করেছিলেন মুইজ্জু। বিশ্লেষকদের মতে, তৃতীয়বার মোদি সরকারের ক্ষমতায় আসায় দুদেশের সম্পর্ক ঠিক করে নিতে চাইছেন মুইজ্জু। যাতে আগামিদিনে জনগণের ক্ষোভে গদি হারাতে না হয় তাঁকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.