ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের সঙ্গে সংঘাতের জড়ানোর ফল হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে মালদ্বীপ। ধুঁকছে আর্থিক সংকটে। এই পরিস্থিতিতে সুর নরম করল মুইজ্জু সরকার। সেদেশের বিদেশমন্ত্রী মুসা জমিরের দাবি, দুই দেশের মধ্যে যা ঘটেছিল তা একান্তই ‘ভুল বোঝাবুঝি’। এবং তা মিটে গিয়েছে।
শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়েই এমন মন্তব্য করেছেন তিনি। জানিয়েছেন, মুইজ্জু ক্ষমতায় আসার পরে প্রাথমিক ভাবে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে চূড়ান্ত অবনতি হয়। কিন্তু চিন ও ভারত, দুই দেশের সঙ্গেই তাঁদের সুসম্পর্ক রয়েছে।
আসলে রেকর্ড হারে ভারতীয় পর্যটক কমে গিয়েছে দ্বীপরাষ্ট্রটিতে। দেশটির অনুদানেও বড়সড় কাটছাঁট করেছে কেন্দ্র। তার উপর মাথায় রয়েছে বড় অঙ্কের ঋণের বোঝা। এই পরিস্থিতিতে যে করে হোক ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে উন্নতি চাইছে মালদ্বীপ। আর তাই এই মন্তব্য বিদেশমন্ত্রীর। এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।
এদিকে মালদ্বীপের এহেন পরিস্থিতিতে সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে আসরে নেমে পড়েছে চিন। মালেকে আর্থিক সাহায্য করবে বেজিং। যা নিয়ে মউ স্বাক্ষরিত হয়েছে দুদেশের মধ্যে। বিশ্লেষকদের মতে, চিন মুখে যতই বলুক সহযোগিতা, এই পদক্ষেপ আসলে দুর্বল দেশগুলোকে ‘ঋণের ফাঁদে’ ফেলার ছক! অর্থ দিয়ে ঋণের জালে জড়িয়ে মালদ্বীপের উপর প্রভাব বিস্তার করতে চায় তারা।
‘চিনপন্থী’ প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু ক্ষমতায় আসার পরই ফাটল ধরে ভারত-মালদ্বীপের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে। তার পর নানা কারণে সংঘাত আরও তীব্র হয়। জোর ধাক্কা খায় সেদেশের অর্থনীতি। যার ফলে জনগণের ক্ষোভ বাড়তে শুরু করেছে সরকারের প্রতি। অবস্থা বেগতিক বুঝে মুইজ্জু এখন অনেকটাই ভারতবিরোধী নীতি থেকে সরে এসেছেন। কিন্তু তাতেও চাঙ্গা হয়নি অর্থনীতি। এবার সামনে এল সেদেশের বিদেশমন্ত্রীর মন্তব্য। আবার এও জানা গিয়েছে, মুইজ্জু নিজেই নাকি শিগগিরি আসবেন ভারতে। আর্থিক চাপ বড় বালাই, সন্দেহ নেই। বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.