Advertisement
Advertisement

চিনা ‘ফাঁদে’ পা দিতে নারাজ মালয়েশিয়া, বেকায়দায় বেজিং  

ভারতকে স্বস্তি দিয়ে পদক্ষেপ মালয়েশিয়ার৷

Malaysia scraps China project
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:January 28, 2019 11:25 am
  • Updated:January 28, 2019 11:25 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার চিনকে ধাক্কা দিল মালয়েশিয়া। চিনের মদতে একটি উচ্চাকাঙ্খী পরিকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প বাতিল করে দিল মালয়েশিয়া সরকার। দেশের পূর্বপ্রান্তের সঙ্গে পশ্চিমপ্রান্তের মধ্যে রেল যোগাযোগ (ইসিআরএল) গড়ে তুলতে চিনের সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন মালয়েশিয়ার পূর্বতন প্রধানমন্ত্রী নাজিব রজক। ‘খরচ অনেক বেশি’ জানিয়ে সেই প্রকল্প খারিজ করে দিল বর্তমান সরকার। 

[ফিলিপিন্সে গির্জায় হামলার নেপথ্যে আইএস, মৃতের সংখ্যা ২৭]

Advertisement

শনিবার মালয়েশিয়ার অর্থমন্ত্রী আজমিন আলি জানিয়েছেন, ৮১ বিলিয়ন রিঙ্গিট বা ১৯.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ইসিআরএল প্রকল্প বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সাংবাদিকদের আলি বলেন, “এই প্রকল্পে খরচ অনেক বেশি। এহেন বিপুল অর্থ খরচ করার সাধ্য দেশের নেই। তাই আপাতত এই প্রকল্পের কাজ শুরু হচ্ছে না।” তিনি আরও জানিয়েছেন, এই প্রকল্প খারিজ না করলে বছরে ৫০০ মিলিয়ন রিংগিট সুদ দিতে হত। যা দেশের পক্ষে সম্ভব নয়। এই মুহূর্তে প্রায় ২৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণের বোঝা বইতে হচ্ছে মালয়শিয়াকে।ফলে চিনা প্রকল্পে না জানিয়ে, ঋণ মেটানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। উল্লেখ্য, গতবছর বেজিং সফরে গিয়ে চিনের ‘বেল্ট এন্ড রোড’ প্রকল্পে স্পষ্ট অসম্মতি জানিয়েছিল মালয়েশিয়া৷ বিনিয়োগের মোড়কে চিনা ঋণের ভার নিতে চায় না দেশ, বলে সাফ জানিয়েছিলেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মহাথির মহম্মদ৷ পূর্বতন প্রধানমন্ত্রী নাজিব রজকের আমলে একাধিক প্রকল্পে স্বাক্ষর করে দুই দেশ।

পরিকাঠামো উন্নতির নামে মালয়েশিয়াকে প্রায় ২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ দিতে চেয়েছিল চিন৷ রেল ও পাইপলাইন প্রকল্পে এই অর্থ বিনিয়োগের আবেদন জানিয়েছিল বেজিং৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিকাঠামো উন্নয়ন বাহানা মাত্র৷ মালয়েশিয়ার মাধ্যমে ভারত মহাসাগরে কবজা জমাতে চায় লালফৌজ৷ বাণিজ্যিকভাবে অতি গুরুত্বপূর্ণ মালাক্কা প্রণালীতে নজর রয়েছে বেজিংয়ের৷ তবে আপাতত ভারতকে স্বস্তি দিয়ে চিনা ফাঁদ এড়িয়ে গেল মালয়েশিয়া৷ উল্লেখ্য, ‘চিন পাকিস্তান ইকোনমিক করিডর’-এর ধাঁচেই এবার তৈরি হতে চলেছে ‘চিন মায়ানমার ইকোনমিক করিডর’ (সিএমইসি)। এই মর্মে চিন ও মায়ানমারের মধ্যে আলোচনাও নাকি এগিয়েছে অনেকটা। এ নিয়ে প্রবল টানাপোড়েন চলছে পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশের মধ্যে। চিনের দু’মুখো নীতির সঙ্গে ভারত ভালভাবেই পরিচিত। পাকিস্তানের সঙ্গে জোট বেঁধে ভারতকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টায় খামতি রাখছে না চিন। পাক জঙ্গিদের পরোক্ষে মদত দিচ্ছে বেজিং। এবার সিএমইসি ও মালয়েশিয়া নিয়ে চিনের সঙ্গে ভারতের টানাপোড়েনে নয়া মাত্রা যোগ হয়েছে।    

[কাটল অচলাবস্থা, ৩৬ দিন পর খুলছে মার্কিন কোষাগার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement