সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চেয়েছিলেন জ্ঞানের আলো পৌঁছক৷ অস্বচ্ছ বোরখা ভেদ করে৷ সেই ‘অপরাধে’ মাথায় লাগে তালিবানি বুলেট৷ দমেননি৷ চালিয়ে যান মেয়েদের শিক্ষা এবং অধিকারের সওয়ালে জেহাদ৷ পান সর্বকনিষ্ঠ নোবেল শান্তি পুরস্কারের সম্মান৷ প্রাপ্তির ঝুলি ভরে দেশ-বিদেশের আরও অনেক সম্মানে৷
এবার সেই মালালা ইউসুফজাইকে সম্মানিত করতে চলেছে রাষ্ট্রসংঘ৷ রাষ্ট্রসংঘের ‘সর্বকনিষ্ঠ শান্তির দূত’ হতে চলেছেন এই পাকিস্তানি তরুণী৷ পদটির জন্য তাঁর নাম মনোনীত করেছেন স্বয়ং রাষ্ট্রসংঘ প্রধান আন্তোনিও গুতিরেজ৷ রাষ্ট্রসংঘের প্রধান হওয়ার পর এই প্রথম কাউকে এই পদে নির্বাচিত করলেন তিনি৷ আগামী সোমবার রাষ্ট্রসংঘের সদর দফতরে এক অনুষ্ঠানে মালালাকে নয়া সম্মানে সম্মানিত করা হবে বলে সূত্রের খবর৷
বর্তমান বসত ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে৷ তবে শৈশব কাটে সন্ত্রাস কবলিত খাইবার পাখতুনখোয়ার মিঙ্গোরায়৷ এই অষ্টাদশীর অসম সাহস অবাক করেছে রাষ্ট্রসংঘ প্রধানকে৷ “কতই বা বয়স মেয়েটার? তাও ভয়ংকর বিপদের মুখে পড়ে কেমন নাছোড়বান্দা ছিল! শুধু মেয়ে বা মহিলাদের জন্য নয়, ধর্ম-জাতি-বর্ণ নির্বিশেষে সমস্ত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে ও যে দায়বদ্ধতা দেখিয়েছে, তা অবাক করার মতো বইকি৷”– মালালাকে রাষ্ট্রসংঘের শান্তির দূত হিসাবে মনোনীত করার পিছনে এই যুক্তিই দেখান আন্তোনিও গুতিরেজ৷ সন্ত্রাসের ভয় থেকে বের করে মালালা ইতিমধ্যেই অনেক মেয়েকে সমাজের মূলস্রোতে ফিরিয়েছেন৷ তাদের হাতে ধরিয়েছেন বই-পেন-পেনসিল৷ গড়েছেন ‘দ্য মালালা ফান্ড’ও৷ সিরীয় শরণার্থীদের জন্য তাঁর ফান্ডের অর্থ দিয়ে তৈরি হয়েছে একটি স্কুলও৷ তাই রাষ্ট্রসংঘের এই নয়া সম্মান মালালাকে আরও বেশি করে নিজের লক্ষ্যপূরণে সাহায্য করবে বলে অভিমত গুতিরেজের৷ আরও বেশি সংখ্যক মানুষ নির্ভীকভাবে তার দেখানো পথে চলতে পারবে৷ নতুন ভূমিকায় সফল হবেন মালালা– আশাবাদী রাষ্ট্রসংঘ প্রধান৷
নোবেল শান্তি পুরস্কার ছাড়াও বিবিধ উল্লেখযোগ্য পুরস্কারে পুরস্কৃত হয়েছেন মালালা ইউসুফজাই৷ সম্প্রতি পেয়েছেন সাম্মানিক কানাডিয়ান নাগরিকত্ব৷ এছাড়াও পেয়েছেন শাখারভ পুরস্কার, সিমন দে ব্যভিয়র পুরস্কার, জাতীয় যুব শান্তি পুরস্কার, সিতারা-ই-ইমতিয়াজ পুরস্কার ইত্যাদি৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.