সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাফল্যের মুকুটে নতুন পালক। কখনও কাশ্মীর। কখনও শরণার্থী সমস্যা কখনও নিজের দেশ পাকিস্তানে মেয়েদের শিক্ষা। সব ইস্যুতেই তিনি সরব। আর তাই তিনিই হলেন এই দশকের জনপ্রিয়তম তরুণী। তিনি কনিষ্ঠতম নোবেল প্রাপক মালালা ইউসুফজাই। ঘোষণা করল রাষ্ট্রসংঘ। বন্দুকের নলের সামনে অকুতোভয় ছিলেন তিনি। দৃপ্ত কণ্ঠে ঘোষণা করেছিলেন, পড়াশোনা চলবেই। সেই লড়াই আজও চলছে।
রাষ্ট্রসংঘ সম্প্রতি তাঁদের রিপোর্টে উল্লেখ করেছে, বিশ্বব্যাপী নারীশিক্ষা অধিকারের পক্ষে এই দশকে মালালা যে ভূমিকা নিয়েছেন, তাতে তাঁর ধারেকাছে আর কেউ নেই। তাঁর সেই কৃতিত্বকে ফের একবার কুর্নিশ জানাল রাষ্ট্র্সংঘ। বিশ্বে নারীদের অধিকার, মানবাধিকার লঙ্ঘিত হলেই গর্জে উঠেছেন মালালা। ভয় দেখিয়ে, আঘাত করেও তাঁর এই লড়াইকে থামানো যায়নি। বরং এই তরুণীর লড়াই দেখে উৎসাহিত হয়েছেন বহু মানুষ। সারা বিশ্বে নারীদের শিক্ষার জন্য জোর সওয়াল করেছেন মালালা।
সালটা ২০১২। ৯ অক্টোবর। মাত্র ১৩ বছর বয়সে তালিবান জঙ্গিদের গুলি লেগেছিল মালালার মাথায়। ঘটনা পাকিস্তানের সোয়াট উপত্যাকা। মেয়েটার অপরাধ একটাই। মেয়ে হয়ে স্কুলে গিয়েছে মালালা। তারপর টানা পাকিস্তান-ব্রিটেনের হাসপাতালের বেডে টানা ৪৯ দিনের যুদ্ধ। মৃত্যুকে হারিয়ে জীবনের ছন্দে ফিরেছিলেন মালালা। সবচেয়ে কম বয়সে নোবেল শান্তি পুরস্কার জিতেছিলেন এই পাক-ভূমিকন্যা। তালিবানি ফতোয়া উড়িয়ে জানিয়ে দিয়েছিল, পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। ব্রিটেনেই।
মালালা এখন ২২। রাষ্ট্রপুঞ্জ তাঁকে শান্তির দূত হিসেবে নিয়োগ করেছে।পৃথিবীর যে প্রান্তে যখনই মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়, গর্জে ওঠেন মালালা। ‘বন্দুক নয়, কলমের জোর বেশি’, ‘শিশুর স্বার্থে শান্তি ফেরান’ ইত্যাদি মালালার নানা কথা নানা সময় ভাইরাল। মালালার সেই লড়াইয়েরই কাহিনি নিয়ে বলিউডে ছবি তৈরি হচ্ছে। ছবির নাম ‘গুল মকাই’। পরিচালক আমজাদ খান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.