সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিজের ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য মরিয়া হয়ে পড়েছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। তাই চিন দেশের জমি দখল করলেও তার কোনও প্রতিবাদ করছেন না। উলটে সরকারের তরফে মিথ্যে বিবৃতি দিয়ে নেপালের সাধারণ মানুষের দৃষ্টি ওই বিষয় থেকে ঘোরাতে চাইছেন। সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ করার জন্য সাংবাদিক খুনের পিছনেও মদত দিচ্ছেন বলে অভিযোগ। এবার চিন সীমান্তে পরিদর্শনে যাওয়া সরকারি প্রতিনিধি দলকে লক্ষ্য করে লালফৌজ কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়লেও এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিবাদ জানায়নি কাঠমাণ্ডু।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েকমাস ধরেই চিন সীমান্তে অবস্থিত নেপালের হুমলা (Humla) জেলার নামখা (Namkha) গ্রামের জমি লালফৌজ দখল করে নিচ্ছে বলে অভিযোগ করছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু, তাতে কর্ণপাত করে কেপি ওলির প্রশাসন। উলটে চিন তাদের জমি দখল করেনি বলেই দাবি করা হয়। নেপালের বিদেশমন্ত্রক বিবৃতি জারি করে জানানো হয়, চিন আমাদের জমি দখল করছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে তা ভিত্তিহীন। সরকারি তরফে ওই এলাকা পরিদর্শন করে দেখা হয়েছে। তাতে কোথায় নেপালের জায়গার মধ্যে চিনের পরিকাঠামো তৈরির প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি প্রকাশের পরেও নামখা গ্রামের বাসিন্দাদের সমস্যা মেটেনি। তাই তাঁদের দাবি মেনে শনিবার চিন সীমান্তে থাকা পিলারগুলি পরিদর্শনের জন্য গিয়েছিল নেপালি কংগ্রেসের নেতা জীবন বাহাদুর শাহীর নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধি দল। তারা যখন সীমান্ত পিলারগুলি ঘুরে দেখছেন সেসময় চিনের সেনাকর্মীরা তাদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে। এর ফলে নামখা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান পেনা লামা (Pena Lama)’র চোখে আঘাত লাগে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে প্রবল উত্তেজনা তৈরি হলেও এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি কাঠমাণ্ডু। এই বিষয়ে সরকারি তরফে কোনও মন্তব্যও করা হয়নি।
এপ্রসঙ্গে নামখা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান পেনা লামা বলেন, ‘আমরা পাঁচ, ছয়, সাত ও আট নম্বর পিলারগুলি দেখে ৯ নম্বর পিলারের দিকে আসছিলাম। সেসময়ই চিনেরা সেনাকর্মীরা আমাদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়তে থাকে। এর ফলে আমার চোখে সামান্য আঘাত লেগেছে।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.