সুকুমার সরকার, ঢাকা: মাসাধিককাল ধরে পিছু পিছু ঘোরার পর অসম পাহাড়ের বুনো হাতিটিকে নাগালে পেলেন বাংলাদেশের উদ্ধারকারী দলটি। হাতিটি উদ্ধারে আসা ভারতীয় উদ্ধারকারী দল বিফল হয়ে ফিরে যাওয়ার দু’দিন পর বাংলাদেশি উদ্ধারকারীরা সফল হল। বৃহস্পতিবার দুপুরে জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার কয়রা গ্রামে ট্রাংকুলাইজার বন্দুক থেকে ডার্ট ছুড়ে হাতিটিকে অচেতন করা হয় বলে জানিয়েছেন বন আধিকারিকরা। অচেতন হাতিটিকে এখন নিরাপদ জায়গায় নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। বন অধিদপ্তরের উপপ্রধান বন সংরক্ষক তপন কুমার দে’র নেতৃত্বে বিকেল পৌনে ৩ নাগাদ জল থেকে ডাঙায় নিয়ে আসা হয় হাতিটিকে। হাতিটিকে কিছুটা শুকনো জায়গায় নদীর পাড়ে পেয়েই চেতনানাশক ডার্ট ছোড়া হয়। কিছু এলাকা ঘুরে কয়রা গ্রামে হাতিটি অচেতন হয়ে পড়ে। এখন হাতিটির শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। স্থানীয়দের সহায়তায় দড়ি দিয়ে টেনে ডাঙায় তোলা হয়েছে হাতিটিকে।
বানের জলে ভেসে গত ২৬ জুন অসম হয়ে বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম সীমান্তে আসে হাতিটি। দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে নদী ও স্থলপথ মিলিয়ে চার জেলায় কয়েকশো কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে অনেকটা দুর্বল হয়ে জামালপুরে অবস্থান নিয়েছিল হাতিটি। বন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হাতিটি নিয়ে যাওয়া হবে বাংলাদেশের কোনো সাফারি পার্কে। পরে গারো পাহাড়ের বনে ছেড়ে দেওয়া হবে। যাতে ভারত থেকে আসা হাতির পালের সঙ্গে এটি চাইলে যেতে পারে। হাতি উদ্ধারকারী দলের প্রধান অসিম মল্লিক জানান, বিকেল ২টো নাগাদ সরিষাবাড়ি উপজেলার কামারাবাদ ইউনিয়নের কয়রা গ্রামে জলের মধ্যে থাকা হাতিটিকে বিশেষ মেশিনের সাহায্যে অজ্ঞান করা হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.