সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা সংক্রমণের জেরে বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই লকডাউন (Lock Down) জারি হয়েছে। এবার তা উঠে যাওয়ার পালা। যেমন ভারতেও ‘আনলক ওয়ান’ (Unlock) পর্ব চলছে। তবে একেবারে লকডাউন শিথিল না করে, তা ধীরে ধীরে উঠলেই বিশ্ব অর্থনীতির পক্ষে মঙ্গলজনক বলে জানাচ্ছে একটি সমীক্ষা। তাদের মত, এভাবে সতর্ক পদক্ষেপ করলে ভবিষ্যতে সংক্রমণের হার কমবে। তাতে ফের লকডাউনের প্রয়োজন হবে না। দীর্ঘমেয়াদে চাহিদা-জোগানের ভারসাম্য বজায় থাকবে। ইউসিএল এবং সিনহুয়া ইউনিভার্সিটির যৌথ সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে। সেটি প্রকাশিত হয়েছে নেচার হিউম্যান বিহেভিয়ার জার্নালেও।
করোনা (COVID-19) লকডাউনে জেরে বিশ্ব অর্থনীতিতে কী প্রভাব পড়েছে, তারই সম্ভাব্য ছবি তুলে ধরতে এই প্রথম বিশদ সমীক্ষা করা হয়েছে। সেখানে যে দেশে করোনার তেমন প্রভাব নেই, সেগুলি-সহ মোট ১৪০টি দেশে সমীক্ষা করা হয়। তাতে বলা হয়েছে, চিনে দ্রুত দু’মাসব্যাপী যে কঠোর লকডাউন বলবৎ ছিল, তার তুলনায় শিথিল চার-পাঁচ মাসের লকডাউন অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য।
গবেষণাপত্রের নেতা অধ্যাপক ডাবো গুয়ান (ইউসিএল বার্লেট স্কুল অফ কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্ট) বলছেন, স্বল্প সময়ের কড়া লকডাউন ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনতে পারে। এবং এক বছর ধরে ধীরে ধীরে লকডাউন শিথিল করলে তাতেও ভবিষ্যতে ফের সংক্রমণের আশঙ্কা ও পরবর্তী লকডাউনের সম্ভাবনা কমবে। অর্থাৎ, দু’মাসে বিধিনিষেধ শিথিল হলে ফের আগামী বছরের জানুয়ারি নাগাদ লকডাউনের প্রয়োজন হতে পারে বলে মনে করছেন গবেষকরা। বিশেষত, করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আসবে বলে প্রায় নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা।
ফের লকডাউন হলে নিউজিল্যান্ডের খাদ্যশিল্প ও জামাইকার পর্যটনশিল্প ৯০ শতাংশ আয় হারাবে। ব্রিটিশ অর্থনীতির সম্ভাব্য ক্ষতির পরিমাণ ৩৮ শতাংশ থেকে বেড়ে হতে পারে ৫৭ শতাংশ। তাই আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের নেতৃত্বে একটা সুসংহত পরিকল্পনা সেরে রাখার কথা বলছেন গবেষকরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.