সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাত্র ৪৯ দিন দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। সেই লিজ ট্রাস (Liz Truss) এবার এবার ঋষি সুনাকের (Rishi Sunak) বড়সড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠলেন। ব্রিটিশ রাজনীতির অন্যতম স্পর্শকাতর তাইওয়ান (Taiwan) ইস্যুতে খোঁচা দিয়ে সুনাকের চাপ বাড়ালেন তিনি। প্রসঙ্গত, তিন দশক পরে কোনও প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তাইওয়ানে পা রাখলেন। সেখানে পৌঁছে ট্রাসের সাফ মন্তব্য, চিনা আগ্রাসনের মুখে ব্রিটেন-সহ সমগ্র পশ্চিমি দুনিয়ার তাইওয়ানের পাশে থাকা উচিত।
১৯৯০ সালে মার্গারেট থ্যাচারের পর ২০২৩-এ তাইওয়ান সফরে গেলেন ট্রাস। বুধবার স্বশাসিত এই দ্বীপে পা রেখে প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “তাইওয়ান ঘিরে সামরিক সক্রিয়তা সাংঘাতিকভাবে বাড়িয়ে চলেছে চিন (China)। আগামী দিনে ঠাণ্ডা লড়াইয়ের সম্ভাবনা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে চিনের এহেন আচরণ। তাই বিশ্বশান্তির কথা মাথায় রেখেই সকলের উচিত তাওইয়ানের পাশে থাকা। চিনা আচরণের নিন্দায় সরব হওয়া উচিত সকলের।”
ট্রাসের এই মন্তব্যেই সুনাকের অস্বস্তি বাড়বে বলে অনুমান ওয়াকিবহাল মহলের। কারণ বেশ কয়েকদিন আগেই ব্রিটিশ সরকারের একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়, চিনকে এখনই দেশের পক্ষে বিপজ্জনক হিসাবে অভিহিত করার সময় আসেনি। ব্রিটিশ নিরাপত্তা বিভাগের এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরে দলের অন্দরেই সমালোচনার মুখে পড়েন সুনাক। দলের তাঁর বিরোধী গোষ্ঠী দাবি করেন, আসলে বেজিংয়ের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখতে পারছে না ব্রিটেন। এই বিরোধী শিবিরের অন্যতম প্রধান মুখ হলেন লিজ ট্রাস।
ব্রিটিশ রাজনীতিতে বেশ কয়েকদিন ধরেই কোণঠাসা হয়ে আছেন ঋষি সুনাক। বেশ কয়েকটি স্থানীয় নির্বাচনে প্রায় ১ হাজারেরও বেশি আসনে হেরেছে তাঁর কনজারভেটিভ পার্টি। এছাড়াও স্ত্রী অক্ষতা মূর্তিকে অন্যায়ভাবে আর্থিক সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এহেন পরিস্থিতিতে তাইওয়ানের মাটিতে দাঁড়িয়ে সুনাককে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন ট্রাস। চিনা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তাইওয়ানকে সাহায্য করবে ব্রিটেন, এমন মন্তব্য করে সুনাকের অবস্থানের বিরোধিতা করলেন তিনি। যদিও প্রকাশ্যে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন ট্রাস।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.