সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হওয়ার এক মাসের মধ্যেই বিতর্কের মুখে পড়লেন লিজ ট্রাস (Liz Truss)। নির্বাচনের সময়ে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সাধারণ মানুষের উপর থেকে করের বোঝা কমাবেন। সেই লক্ষ্যেই দেশের সর্বোচ্চ করদাতাদের উপর থেকে করের পরিমাণ ৪৫ শতাংশ কমিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু মাত্র দশ দিনের মধ্যে সেই সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নিল সদ্য গঠিত ব্রিটিশ সরকার।
সোমবার ব্রিটেনের (Britain) অর্থমন্ত্রী কোয়াসি কোয়ার্তেং টুইট করে জানিয়েছেন, “ব্রিটিশ বাণিজ্যের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে নিম্নবিত্তদের উপর থেকে করের বোঝা কমানো- আমাদের আর্থিক নীতির জন্য দুটোই সমান গুরুত্বপূর্ণ। আপাতত দেশের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে নতুন ভাবে পরিকল্পনা শুরু হচ্ছে।” করছাড়ের প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “আমাদের জন্য যে চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তার মোকাবিলা করতে হবে। সেই জন্যই করছাড়ের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হচ্ছে।”
দেশের সর্বোচ্চ আয়কারী নাগরিকদের যে পরিমাণ কর দিতে হত, তার ৪৫ শতাংশ কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল লিজ ট্রাসের সরকার। তারপরেই বিশ্ববাজারে ঐতিহাসিক ভাবে কমে যায় ব্রিটিশ পাউন্ডের দাম। ফলে সরকারের আর্থিক নীতি ঘিরে দ্বন্দ্ব শুরু হয়ে যায় কনজারভেটিভ পার্টির অন্দরেই। লিজ ট্রাসের নীতির কট্টর সমালোচনা করেন দলের নেতারা। বিশেষত, প্রধানমন্ত্রী পদে ট্রাসের প্রতিদ্বন্দ্বী ঋষি সুনকের পক্ষে থাকা এমপিরা কড়া সরকারি নীতির নিন্দা করেছেন।
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে ঋষি সুনকের হারের অন্যতম প্রধান কারণ ছিল, জনমোহিনী আর্থিক নীতির কথা ঘোষণা করতে পারেননি তিনি। ঋষি বলেছিলেন, দেশের মানুষকে অহেতুক স্বপ্ন দেখিয়ে লাভ নেই। বাস্তবে যা সম্ভব নয়, সেই নীতির কথা মানুষকে বলে বিভ্রান্ত করার মানে হয়না। অন্যদিকে, ঢালাও করছাড়ের ঘোষণা করে দলীয় কর্মী সমর্থকদের মন জয় করে নিয়েছিলেন ট্রাস। কিন্তু সেই নীতির ফলেই আজ বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রীকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.