সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শেষের সেদিন আসন্ন। নির্বিচারে প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট, বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে সত্যিই সংকটে ধরিত্রী। তার আগাম আভাস পাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। এবার তাঁদের গবেষণায় উঠে এল আরও এক চমকপ্রদ তথ্য। ধ্বংসের মুখে আমরা সর্বপ্রথম যে প্রাণীটিকে হারাব, সেটি একটি ছোট্ট ইঁদুর। পোশাকি নাম – ব্রেমবেল কে মেলোমিস। আর স্থানীয় ভাষায় ‘লিটল ব্রাউন ব়্যাট’ নামে পরিচিত। অস্ট্রেলিয়ার একেবারে প্রত্যন্ত এলাকায় বসবাসকারী, সাধারণ প্রাণীজগতের সঙ্গে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। গবেষণা বলছে, বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রথম থাবাটি পড়বে এর উপর। স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে সবচেয়ে আগে বিলুপ্ত হয়ে যাবে এই লম্বা লেজ, নীল চোখের মুষিককুল।
ব্রেমবেল কে মেলোমিস। অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড এলাকায় এদের বাস। এছাড়া পাপুয়া নিউগিনির এক ছোট্ট বালি দ্বীপে থাকে এই ইঁদুর। নীলচে চোখ আর খাঁজকাটা রঙিন লেজের জন্য বিখ্যাত এই খুদে স্তন্যপায়ী প্রাণীটি। স্বভাবে নিরীহ। সাদা বালি খুব পছন্দের। তারই মধ্যে গর্ত খুঁড়ে থাকে। সাধারণ প্রাণিকুল থেকে কিছুটা বিচ্ছিন্ন। গবেষকরা বলছেন, ২০০৯ সালের পর থেকে অর্থাৎ গত ১০ বছর ধরে ‘লিটল ব্রাউন ব়্যাট’ প্রজাতির একটি ইঁদুরও চোখে দেখা যায়নি। ওই দ্বীপের ৫ হেক্টর জমিতে তন্নতন্ন করে খুঁজেও পাওয়া যায়নি। না কুইন্সল্যান্ডে, না পাপুয়া নিউগিনি অঞ্চলে। এর নেপথ্যে নানা কারণকে দায়ী করা হচ্ছে। সমুদ্রের জলতল কমে যাওয়া, সৈকতের পরিবেশ নষ্ট-সহ একাধিক কারণে বাসস্থান খুব একটা সুরক্ষিত নয় এই বন্ধুহীন ইঁদুরদের। সাধারণত যে যে প্রমাণ দেখে একটি প্রাণীর বিলুপ্তির সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়, তার অধিকাংশই লিটল ব্রাউন ব়্যাটের সঙ্গে মিলে যায়। সেই কারণে তাঁদের অনুমান, দ্রুতই বিলুপ্তির দিকে এগোচ্ছে এরা।
পুলওয়ামা হামলায় ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে: ডোনাল্ড ট্রাম্প
২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় তৎকালীন সরকার ব্রেমবেল কে মেলোমিস সংরক্ষণে যথেষ্ট উদ্যোগী ছিল। যথেষ্ট অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছিল। কিন্তু অভিযোগ ওঠে, সংরক্ষণের দায়িত্বে থাকা সংস্থাগুলি কাজ ঠিকমতো করেনি। এনিয়ে আন্তর্জাতিক বন্যপ্রাণ সংরক্ষক মহলের সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়ে অস্ট্রেলিয়া প্রশাসনকে। এমনিতেই প্রাণী সংরক্ষণ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার দুর্নাম রয়েছে। এখানকার প্রচুর প্রাণী ক্রমে হারিয়ে গিয়েছে। এবার লিটল ব্রাউন ব়্যাটের ঘটনায় ফের তাঁদের মুখ পুড়ল বলে মনে করা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.