সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাংহাইয়ে কোভিড (Covid) সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ব্যাপক কড়াকড়ি শুরু করেছিল চিনের প্রশাসন। কঠোর নীতি প্রণয়নের নেপথ্য নায়ক ছিলেন লি কিয়াং। এবার তিনিই চিনের প্রিমিয়ার পদে বসতে চলেছেন। চিনা প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকবেন শি জিনপিং (Xi Jinping) ঘনিষ্ট এই নেতা। যদিও এই নেতাকে নিয়ে অসন্তুষ্ট চিনা নাগরিকদের একাংশ। কারণ সাংহাইয়ের আর্থিক অবস্থার অবনতির নেপথ্যে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল লির।
লি কিয়াংয়ের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, চিনের নিয়মকে পাশ কাটিয়ে অনৈতিক ভাবে প্রিমিয়ার (China Premier) পদে বসতে চলেছেন তিনি। শুধুমাত্র জিনপিংয়ের সঙ্গে ঘনিষ্টতার সুবাদেই দেশের অন্যতম শীর্ষ পদে বসছেন, এমনটাই দাবি রাজনৈতিক মহলের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাঙ্কার বলেছেন, এই নিয়োগ ঘিরে একেবারেই অখুশি চিনের ব্যবসায়ী মহল। যদিও কোনও সংস্থার তরফে নয়া প্রিমিয়ারের বিরুদ্ধে সরকারি ভাবে কিছু বলা হয়নি।
চিনের প্রিমিয়ার হিসাবে দেশের আর্থিক নীতি প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছেন লি (Li Qiang)। বিশেষজ্ঞদের মতে, শির সঙ্গে লির সু সম্পর্কের ইতিবাচক প্রভাব পড়বে চিনা প্রশাসনে। অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ দুই নেতার মধ্যে বোঝাপড়ার কারণে উন্নতি করতে পারে চিন। কিন্তু অপর একাংশের দাবি, নয়া প্রিমিয়ারের প্রতি অতিরিক্ত নির্ভরশীল জিনপিং। তাঁকে খুশি রাখতে ভুল নীতি প্রণয়ন করার সম্ভাবনা রয়েছে চিনা প্রেসিডেন্টের।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিনের মধ্যেই রাজনীতি থেকে অবসর নিতে চলেছেন চিনের বর্তমান প্রিমিয়ার লি কেকিয়াং। চিনা পার্লামেন্টের অধিবেশনে নিজের শেষ বক্তৃতায় তিনি সাফ জানিয়ে দেন, তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ডের অন্তর্ভুক্ত করতে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে চিনকে। যুদ্ধে কাজ না হলে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে দুই ভূখণ্ডকে এক করতে হবে। পূর্বসূরীর এই নীতি প্রণয়নে করতে লি জোর দেবেন কিনা তা নিয়েও সংশয় রয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.