Advertisement
Advertisement

Breaking News

Nepal

ভারতের সঙ্গে বিবাদের জের! প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ চাইছেন নেপালের শাসকদলের শীর্ষ নেতারা

মঙ্গলবার নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির বৈঠকেও তাঁকে পদত্যাগ করতে বলেন অনেকে।

leaders ask for PM KP Oli’s resignation in a standing committee meeting

মঙ্গলবার নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির বৈঠকেও তাঁকে পদত্যাগ করতে বলেন অনেকে।

Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:June 30, 2020 6:20 pm
  • Updated:June 30, 2020 6:32 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিতর্কিত মানচিত্র অনুমোদন করার পর থেকে সমস্যায় পড়েছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। যতদিন যাচ্ছে তাঁর পদত্যাগের দাবিতে চাপ বাড়ছে দলের অন্দরে। পুষ্পকুমার দহল বা প্রচণ্ড-সহ শাসকদল নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি (Nepal Communist Party) -এর শীর্ষ চার নেতা অবিলম্বে তাঁকে পদত্যাগ করতে বলেছেন। অন্য নেতারাও ভারতের সঙ্গে এতদিনকার মধুর সম্পর্ক খারাপ হওয়ার জন্য তাঁর দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলছেন। মঙ্গলবার দুপুরে দলের স্ট্যান্ডি কমিটির বৈঠক চলাকালীনও উত্তেজনা ছড়ায়। বিভিন্ন বিষয়ে ব্যর্থতার জন্য ওলিকে পদত্যাগ করতে বলেন দলের যুগ্ম সভাপতি প্রচণ্ড, বর্ষীয়ান নেতা মাধব নেপাল, ঝালানাথ খানাল ও বামদেব গৌতম।

সোমবার নেপালের প্রধানমন্ত্রী ওলি অভিযোগ করেছিলেন, ভারত তাঁকে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরাতে চাইছে। চাপ দিয়ে তাঁর সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চাইছে। এর জন্য নয়াদিল্লিতে একটি বৈঠকও হয়েছে। এই বিষয়টি উল্লেখ করে নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী প্রচণ্ড ওলিকে প্রশ্ন করেন, ‘ভারত যে আপনার সরকার ফেলার চেষ্টা করছে তার প্রমাণ কোথায়?’ এরপরই তিনি বলেন, ‘ভারত নয় আমিই চাই যে আপনি পদত্যাগ করুন।’

[আরও পড়ুন: ৫৯টি অ্যাপ নিষিদ্ধ করায় উদ্বেগে বেজিং, পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে চিনের বিদেশমন্ত্রক]

পরিস্থিতি দেখে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বেশ কিছুদিন ধরেই নেপালের নাগরিকদের মনে জাতীয়তাবাদী মনোভাবের জিগির তুলে নিজের মসনদ পোক্ত করার চেষ্টা করছেন প্রধানমন্ত্রী ওলি। আর এর জন্য নতুন মানচিত্র বানিয়ে ভারতের সঙ্গে বিবাদের রাস্তাতে হেঁটেছেন। মূলত গোর্খা ভাবাবেগকে হাতিয়ার করে ওলি নিজের স্বার্থসিদ্ধির চেষ্টা করছেন। না হলে মানচিত্র নিয়ে ওলিকে রয়েসয়ে পদক্ষেপ করার উপদেশ আগেই দিয়েছিলেন নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহল ওরফে প্রচণ্ড (Prachanda)। কিন্তু, তাতে কর্ণপাত করেননি ওলি। পাশাপাশি দলের যুগ্ম সভাপতি বা দেশের প্রধানমন্ত্রী যে কোনও একটি পদ তাঁকে বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। দুটো পদে একসঙ্গে আসীন থাকা যাবে না বলে সর্তকও করা হয়েছিল। কিন্তু, তাতে গুরুত্ব দেননি নেপালের প্রধানমন্ত্রী। তার ফলশ্রুতিতেই ওলিকে পদত্যাগ করানোর দাবি জোরালো হচ্ছে। মঙ্গলবার দলের স্ট্যান্ডিং কমিটির মিটিংয়েই তার প্রমাণ পাওয়া গেল।

[আরও পড়ুন: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে জারি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement