ফাইল ফটো
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিজের পদ থেকে ইস্তফা দিক জেহাদি ও মুজাহিদদের সর্বময় কর্তা সালাউদ্দিন। তাকে মাথায় রেখে কোনও ফায়দা হচ্ছে না। এখনই পদত্যাগ করুক সে। এমনটাই চাইছে পাকিস্তান মদতপুষ্ট দুই জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবা এবং জইশ-ই-মহম্মদ। হিজবুল মুজাহিদিনের প্রধান এবং জঙ্গি সংগঠনগুলির জোট ইউনাইটেড জেহাদ কাউন্সিল (ইউজেসি)-এর সর্বময় কর্তা সালাউদ্দিন গত তিন দশক ধরে এই দুটি সংগঠনের নেতৃত্ব দিচ্ছে। তিনি প্রথম থেকেই পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের নয়নের মণি।
সূত্রের খবর, বার্ধক্যজনিত কারণে নিজেই গুরুদায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চাইছে সালাউদ্দিন। তাই নিজেই সরে যেতে চায় সে। কিন্তু ভারতের সেনা গোয়েন্দাদের কাছে পাকা খবর আছে, সালাউদ্দিনের কাজকর্মের উপর বীতশ্রদ্ধ হয়েই তাকে সরাতে মরিয়া লস্কর ও জইশ। কারণ, লস্কর ও জইশ দুটিই পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন। সালাউদ্দিন নিজে কাশ্মীরি ও তার সংগঠন হিজবুল কাশ্মীরভিত্তিক সংগঠন। কাশ্মীর উপত্যকায় ভারতীয় সেনাদের বিরুদ্ধে কৌশলগত অবস্থান, লড়াইয়ের পদ্ধতি কি হবে এবং আগামী দিনে কোন পথে যাবে কাশ্মীরের আজাদির লড়াই তা নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে সালাউদ্দিনের সঙ্গে লস্কর ও জইশের মতপার্থক্য চরমে উঠেছে।
[ফ্লোরিডায় স্কুলে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি প্রাক্তনীর, নিহত অন্তত ১৭]
এছাড়া কাশ্মীরে সন্ত্রাস দমনে ও জেহাদিদের খতম করার ক্ষেত্রে ভারতীয় সেনাদের উল্লেখযোগ্য সাফল্য ‘আজাদি’র লড়াইকে ইদানিং ভাল ধাক্কা দিয়েছে। নিহত হয়েছে বুরহান ওয়ানি, সবজার ভাট, সাজ্জাদ গিলকর, আবদুল কায়ুম নজরের মতো শীর্ষ লস্কর কমান্ডাররা। এদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে পোড় খাওয়া দলনেতা সালাউদ্দিন। এই অবস্থায় কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে ও কৌশল বদলাতে ব্যর্থ হয়েছে হিজবুলের কমান্ডার ইন চিফ ষাটোর্ধ্ব সালাউদ্দিন। তার একদা ঘনিষ্ঠ অনুচর আমির খান, ইমতিয়াজ আলম-সহ বেশ কয়েকজন হিজবুল কমান্ডারের অভিযোগ, সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে সালাউদ্দিন।
সংগঠন আর ‘আজাদি’র লড়াইকে আর কিছুই দেওয়ার নেই তার। তাছাড়া লস্কর, জইশ চায় জম্মু ও কাশ্মীরে ফিদায়েঁ হামলা চালিয়ে হিন্দুস্তানি ফৌজকে খতম করতে। কিন্তু সালাউদ্দিনের হিজবুল পুরনো পদ্ধতিতে লড়াই চালাচ্ছে। এতে সাফল্য পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। এই অবস্থায় লস্কর ও জইশের শীর্ষ নেতারা আইএসআইয়ের কাছে প্রবল চাপ দিচ্ছে যাতে সালাউদ্দিনকে পাকাপাকিভাবে সরিয়ে দেওয়া হয়। এই চাপ অস্বীকার করতে পারছেন না রাওয়ালপিন্ডির কর্তারা। এ ব্যাপারে পাকা খবর রয়েছে ভারতীয় গোয়েন্দাদের কাছে।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভারতীয় সেনা অফিসারকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা জানাচ্ছে, হিজবুলের অদক্ষতার কারণে কাশ্মীরি যুবক ও বিচ্ছিন্নতাবাদীরা এখন জইশ ও লস্করে নাম লেখাচ্ছে। এটা বিপজ্জনক প্রবণতা। এরকম চলতে থাকলে আগামীদিনে জঙ্গি অনুপ্রবেশ ও আত্মঘাতী হামলা অনেক বাড়বে। তাছড়া লস্কর প্রধান হাফিজ সইদ ও জইশ প্রধান মাসুদ আজহার চাপের খেলা খেলছে। তারা দু’জনেই চাইছে চাপ দিয়ে হিজবুল প্রধান সালাউদ্দিনকে নিয়ন্ত্রণে আনতে। সালাউদ্দিন তাদের কথা মতো চলতে রাজি না হওয়ায় তাকে সরিয়ে দিতে পাকিস্তানের সেনা কর্তাদের উপর চাপ দিচ্ছে হাফিজ ও মাসুদ আজহার।
[নতুন ধরনের পারমাণবিক অস্ত্র বানাচ্ছে পাকিস্তান, দাবি আমেরিকার]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.