Advertisement
Advertisement

ইমরানের সাংসদ পদ বাতিলের দাবি উঠল পাকিস্তানে

'অসৎ ও অধার্মিক' ইমরান খানের বিরুদ্ধে মামলা পাকিস্তানে।

Plea seeking disqualification of  Imran Khan.
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:March 10, 2019 12:19 pm
  • Updated:March 10, 2019 12:19 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক : আটক হওয়া ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে দেশে ফিরিয়ে দিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের নজর কাড়ার চেষ্টা করেছেন। হিন্দু বিরোধী মন্তব্য করায়, পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিয়ে হয়েছেন প্রশংসিত। কিন্তু, এবার নিজের দেশেই সমস্যার মধ্যে পড়তে হল পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে। পাকিস্তানের সংসদ থেকে তাঁর সদস্য পদ বাতিল করার জন্য শুরু হল মামলা। মামলাকারীদের অভিযোগ, ইমরান এই পদে থাকার জন্য অযোগ্য। আগামী সোমবারই এই মামলার শুনানি শুরু হতে চলেছে লাহোর হাই কোর্টে।

এই মামলায় ইমরানের বিরুদ্ধে দুর্নীতিতে মদত দেওয়া ও ধর্মনিষ্ঠ না হওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, সেই দেশের সংসদের সদস্যদের সৎ ও ধর্মনিষ্ঠ হতে হবে। অভিযোগকারীদের বক্তব্য, ২০১৮ সালে নির্বাচনে দাঁড়ানোর সময় দেওয়া মনোনয়নপত্রে ইমরান তাঁর অবৈধ সন্তান টাইরিয়ান জেড খান হোয়াইটের কথা বেমালুম গোপন করে গিয়েছেন। টাইরানের মা ব্রিটিশ শিল্পপতি লর্ড গর্ডন হোয়াইটের মেয়ে অ্যানা লুইজ বা সিটা হোয়াইট। সিটার দাবি, তিনি ইমরান খানের সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। টাইরানের পিতা ইমরানই। যদিও ইমরান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন। পরে আমেরিকার আদালতও ইমরানের মেয়ে বলে টাইরানকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। কিন্তু তারপরও টাইরানের পিতৃত্ব মেনে নিতে রাজি হননি একসময় লেডিকিলার হিসেবে পরিচিত ইমরান।

Advertisement

[এয়ারস্ট্রাইকে ক্ষতিগ্রস্ত মাদ্রাসা! সংবাদমাধ্যমের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা পাকিস্তানের]

২০০৭ সালে, পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন ইমরানের পক্ষেই মত দিয়েছিল। লাহোর হাই কোর্টে মামলাকারীদের অভিযোগ, এই সম্পর্কের কথা মনোনয়নপত্রে না লিখে মিথ্যে কথা বলেছেন ইমরান। ফলে তিনি সৎ ও ধর্মনিষ্ঠ আচরণ করেননি। অতএব দেশের সংবিধান অনুযায়ী, ইমরানের পাকিস্তানের সাংসদপদ বাতিল হওয়া উচিত। জানুয়ারি মাসেও এমন একটা অভিযোগ করে মামলা
হয়েছিল ইসলামাবাদ হাইকোর্টে। কিন্তু সেই মামলার আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত।

[বিকিনি পরে সমুদ্র স্নান, ইনস্টাগ্রামের জন্য ছবি তুলতে গিয়ে তলিয়ে গেলেন ২ যুবতী]

এদিকে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ হৃদরোগের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যেতে অস্বীকার করেছেন। নওয়াজের বক্তব্য, তাঁর চিকিৎসা নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। সেই রাজনীতির কাছে মাথা নোয়ানোর থেকে সম্মানের সঙ্গে মৃত্যুবরণ করা ভাল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement