সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক : শুক্রবার ওয়াঘায় ভারত-পাক সীমান্তের ওপার থেকে উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান যখন এপারে আসছিলেন, তখন তাঁর পাশেই হাঁটতে দেখা গিয়েছিল এক মহিলাকে। দু’জনে হাসিমুখে কথাও বলছিলেন। এমনকী একেবারে জিরো লাইন পর্যন্ত অভিনন্দনকে এগিয়ে দিতেও দেখা গিয়েছিল সেই রহস্যময়ীকে। আর সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর পরিচয় নিয়ে রাতারাতি শুরু হয়েছিল জল্পনা-কল্পনা। চারপাশে ইতিউতি ফিসফাস ওঠে, “কে ইনি? অভিনন্দনের স্ত্রী নাকি তাঁর পরিবারের কোনও সদস্য?” সদুত্তর না পেয়ে গুঞ্জন তীব্রতর হয়েছিল।
প্রশ্ন ওঠে, তবে কী অভিনন্দনকে ফিরিয়ে আনতে এবং পরিবারের হাতে তাকে নিরাপদে তুলে দিতে আগেভাগেই তাঁর স্ত্রীকে পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল? তবে ভুল ভেঙেছে পরে। জানা গিয়েছে, ওই মহিলার নাম ড. ফারিহা বুগতি। পদে এফএসপি (ভারতের আইএফএস-এর সমতুল) অর্থাৎ পাক বিদেশ মন্ত্রকের ভারত সম্পর্কিত দপ্তরের অধিকর্তা। পাক বিদেশ মন্ত্রকে ভারত সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয়ের তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব ন্যস্ত রয়েছে এই মহিলার হাতেই। ভারত-পাকিস্তান, এই দুই পড়শি দেশের মধ্যে জটিল থেকে জটিলতর কূটনৈতিক মামলার দেখাশোনা করার ভার পালন করেন ফারিহা। শুধু তাই নয়। পুলওয়ামা কাণ্ডের পর দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্কের যে অবনতি ঘটেছে, তার ফলে যাতে কখনওই যুদ্ধের পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়, তা নিশ্চিত করতে কূটনৈতিক স্তরে মুখ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন এই বিদূষী মহিলাই।
তবে অভিনন্দনই প্রথম নন। জানা গিয়েছে, এর আগে ২০১৮ সালে ইসলামাবাদে যখন মা এবং স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন পাকিস্তানে ভারতীয় চর সন্দেহে ধৃত কূলভূষণ। তখন সেখানেও ছিলেন ফারিহা। প্রসঙ্গত, কুলভূষণ যাদবের মামলার পর্যবেক্ষণের ভার যে কয়েক জন শীর্ষ স্তরের পাক আমলার হাতে ন্যস্ত রয়েছে, ফারিহা তাঁদের অন্যতম। তাঁর বাড়ি বালুচিস্তানে। পাক বিদেশমন্ত্রকে বর্তমানে যে মোট ৪৫ জন মহিলা অফিসার রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে বালুচিস্তানের একমাত্র প্রতিনিধি এই বুগতিই। ফারিহা পাক বিদেশমন্ত্রকে নিযুক্ত হন ২০০৫ সালে। তার মাত্র দু’বছরের মধ্যেই তিনি পাক বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্রের দপ্তরের সহকারী অধিকর্তার পদে বহাল হন। সূত্রের খবর, এরপর অন্য পদে তিনি জেনিভায় যাচ্ছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.