সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোরীয় উপদ্বীপে ঘনাচ্ছে যুদ্ধের মেঘ! সামরিক মহড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া ও আমেরিকা। তাই অস্ত্রে শান দিচ্ছে উত্তর কোরিয়া। প্রতিপক্ষকে মাত দিতে দ্রুত মিসাইল উৎপাদন বাড়ানোর নির্দেশ দিলেন একনায়ক কিম জং উন।
উত্তর কোরিয়ার (North Korea) সরকারি সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ জানিয়েছে, “বিভিন্ন অস্ত্র কারখানায় পরিদর্শন করছেন কিম। দ্রুত মিসাইল ও যুদ্ধের অন্যান্য সরঞ্জাম তৈরির দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখছেন। গত শুক্রবার ও শনিবার ক্ষেপণাস্ত্র, সাঁজোয়া যান, কামানের গোলা তৈরির কারখানায় পরিদর্শনে গিয়েছিলেন তিনি।” এক রিপোর্ট মোতাবেক, কিম বলেছেন, “যুদ্ধের প্রস্তুতি নির্ভর করে যুদ্ধাস্ত্র তৈরির শিল্পের উন্নতির উপর। এখানেই অস্ত্র তৈরির কারখানাগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনীকে তারাই সাহায্য করবে।”
জানা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়া (South Korea) যৌথভাবে সামরিক মহড়া ও অস্ত্রের পরীক্ষানিরিক্ষা শুরু করবে। যদিও এই জোটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তাদের উত্তর কোরিয়া আক্রমনের কোনও পরিকল্পনা নেই। কিন্তু দ্রুত অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র তৈরি করে যুদ্ধের ময়দানে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত থাকাই এখন একনায়ক কিমের লক্ষ্য।
প্রসঙ্গত, ৯ আগস্ট ‘সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের’ বৈঠকে কিম শত্রুদের প্রতিহত করার বিষয়ে আলোচনা করেন। সেনাবাহিনীকে যে কোনও সময় যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার পাশাপাশি নতুন অস্ত্রশস্ত্র ও যুদ্ধের সরঞ্জাম নিয়ে মহড়া দেওয়ারও নির্দেশ দেন তিনি। এমনকী কেসিএনএর প্রকাশিত ছবিতে দেখা গিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিওল ও তার সংলগ্ন এলাকাগুলি মানচিত্রে চিহ্নিত করছেন।
উল্লেখ্য, আমেরিকার সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার লড়াই বহুদিনের। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আবহেও কিমের বিরুদ্ধে রাশিয়াকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্যের অভিযোগ করেছিল ওয়াশিংটন। অন্যদিকে, আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করছে দক্ষিণ কোরিয়াও। গত জুলাই মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার বন্দরে প্রবেশ করেছিল মার্কিন নৌসেনার সাবমেরিন। তাতে অস্তিত্ব সংকটের আশঙ্কায় মিসাইল উৎক্ষেপণ করেছিল কিমের দেশ। এই প্রেক্ষাপটে বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন বিপুল অস্ত্র সম্ভার নিয়ে উত্তর কোরিয়া যেকোনও সময় আঘাত হানতে প্রস্তুত। গতমাসেই খবর মিলেছিল গোপনে নতুন ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ তৈরি করে ফেলেছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বাধিনায়ক কিম জং উন। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন আমেরিকা ও মিত্র দেশগুলি। কোরীয় উপত্যকা কার্যত বারুদের স্তূপের উপর দাঁড়িয়ে। যে কোনও মুহূর্তে ঘটতে পারে যুদ্ধের বিস্ফোরণ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.