সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইরানের সেনাঘাঁটিতে আক্রমণ শানিয়েছে ইজরায়েলি সেনা। সূত্রের খবর, পালটা দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে ইরানি সেনাও। এহেন অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে ইজরায়েলি হানা নিয়ে মুখ খুললেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেই। ইজরায়েলি হানার পর প্রথমবার মুখ খুলে তিনি জানালেন, তেল আভিভের এই পদক্ষেপকে বড় করে দেখার মতো কিছু নেই। তবে একেবারে অগ্রাহ্য করাও উচিত নয়।
শনিবার ইজরায়েলি সেনার একের পর এক বোমাবর্ষণে কেঁপে ওঠে ইরানের রাজধানী তেহরান-সহ একাধিক এলাকা। পাশাপাশি আক্রমণ শানানো হয় ইরাক ও সিরিয়াতেও। ইরানের সেনাঘাঁটিতে হামলার কথা ঘোষণা করে ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ)। উল্লেখ্য, ইজরায়েলে হামলা চালাচ্ছিল ইরানের মদতপুষ্ট লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হেজবোল্লা। ফলে তেহরানের সঙ্গে সংঘাত তীব্র হয় তেল আভিভের। এর মাঝেই আগুনে ঘি ঢালে হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়েহ ও হেজবোল্লা প্রধান হাসান নাসরাল্লার মৃত্যু। ক্ষোভের আগুনে ফুঁসে উঠে গত ১ অক্টোবর ইজরায়েলে মিসাইল হামলা চালায় তেহরান।
শনিবার খামেনেইয়ের দেশকে পালটা দেয় তেল আভিভ। ইরানের সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে একশো এফ-৩৫আই জেটের সাহায্যে হামলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে গুঞ্জন শুরু হয়, আমেরিকার ‘নির্দেশে’ই এই হামলা। কিন্তু ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু দাবি করলেন, মার্কিন হুকুম নয়, জাতীয় স্বার্থেই ইজরায়েলি সেনা হামলা চালিয়েছে ইরানের সেনা ঘাঁটিতে। গুঞ্জন চলছে, এবার তেল আভিভকে পালটা দিতে বড়সড় হামলার পথে হাঁটবে ইরান।
এমন রণংদেহি পরিস্থিতিতে মুখ খুলেছেন খামেনেই। তাঁর কথায়, “দুদিন আগে ইজরায়েল শয়তানের মতো যে পদক্ষেপ করেছে সেটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করা বা খাটো করে দেখা-কোনওটাই প্রয়োজন নেই। তবে ইরানের শক্তি কতখানি সেটা ইজরায়েলকে বুঝিয়ে দেওয়া দরকার। কীভাবে সেটা বোঝানো হবে সেই সিদ্ধান্ত অবশ্য ইরানি প্রশাসনের।” তবে ইজরায়েলি হামলার পালটা কী পদক্ষেপ করবে ইরান, সেই নিয়ে অবশ্য খামেনেই কিছু বলেননি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.