সুকুমার সরকার, ঢাকা: ফের বিতর্কে খালেদা জিয়া। একাধিক দুর্নীতি মামলায় জেরবার বাংলাদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। এবার আইনি পরামর্শ নিতে গিয়েও বিপাকে বিএনপি নেত্রী। ‘জিয়া অরফানেজ’ দুর্নীতি মামলায় সদ্য বিখ্যাত ব্রিটিশ আইনজীবী লর্ড আলেকজান্ডার চার্লস কারলাইনকে নিযুক্ত করেন খালেদা। তারপরই দানা বাঁধে বিতর্ক। অভিযোগ, উগ্রপন্থী সংগঠন জামাত-ই-ইসলামির সঙ্গে যোগ রয়েছে আইনজীবী চার্লস কারলাইনের।
[দুর্নীতি মামলায় জেরবার, ব্রিটিশ আইনজীবীর শরণাপন্ন খালেদা জিয়া]
এই অভিযোগ উঠে আসতেই মুখ খুলেছেন চার্লস কারলাইন। সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা ও সাজানো বলে দাবি করেছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, “বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এবং বাংলাদেশ সরকারের একজন মন্ত্রী যেভাবে আমাকে জামাতের সঙ্গে জড়িয়েছেন তা সম্পূর্ণ অসত্য ও অপমানজনক। ভবিষ্যতে এই ধরনের মন্তব্য করা হলে আমাকে বাধ্য হয়ে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।” তবে কারলাইন সাফাই দিলেও বিতর্ক থামছে না। ব্রিটেনে জামাতের বিভিন্ন কাজে জড়িত রয়েছেন কারলাইন বলেই অভিযোগ করছেন অনেকে। জিয়ার নানা দুর্নীতি মামলার নথিও তাঁর কাছে রয়েছে বলে অভিযোগ উঠে আসছে। এহেন সরাসরি জঙ্গিযোগের অভিযোগে খালেদার সমস্যা আরও জটিল হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, আমেরিকার ‘হাউস অব লর্ডস’-এর সদস্য লর্ড কারলাইন। এছাড়াও ‘কমনওয়েলথ হিউম্যান রাইটস ইনিশিয়েটিভ’-এর চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন তিনি৷ আমেরিকার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের স্বাধীন পর্যবেক্ষক হিসেবে প্রায় এক দশক কাজ করেছেন দুঁদে এই আইনজীবী। বর্তমান ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা ‘এমআই-৬’-এর প্রাক্তন প্রধান জন স্কারলেটের সঙ্গে ‘এসসি স্ট্র্যাটেজি লিমিটেড’ নামে একটি প্রতিরক্ষা পরামর্শ সংস্থান চালাচ্ছেন। বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে মন্তব্য করে বিতর্ক উসকেছিলেন কারলাইন। ২০১৬ সালে যুদ্ধাপরাধের দোষী জামাত নেতা মীর কাসেম আলির ফাঁসির রায়ের সমালোচনাও করেন তিনি।
[আওয়ামি লিগ নেতা হত্যা মামলায় ফাঁসির সাজা ৭ জামাত জঙ্গির]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.