ইমরান খান
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দলীয় কোন্দলের জেরে পাক সংসদে আটকে গেল সন্ত্রাসদমন নিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দু’টি বিল। এর ফলে আন্তর্জাতিক মঞ্চে অনেকটাই বেকায়দায় পড়তে হবে ইমরান খানের প্রশাসনকে। শুধু তাই নয়, ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের ধূসর তালিকা থেকে বেরিয়ে আসার ইসলামাবাদের চেষ্টাও ধাক্কা খেয়েছে এর ফলে।
জাতীয় সংসদে পাশ হলেও বিরোধী সংখ্যাগরিষ্ট সেনেটে বিল দু’টি আটকে যাওয়ায় দেশবিরোধী কাজের অভিযোগ তুলে বিরোধী দলনেতাদের দুষলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ইমরানের অভিযোগ, “নিজেদের আর্থিক কেলেঙ্কারি ও দুর্নীতি ঢাকতে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন বিরোধী দলনেতারা। পাকিস্তান সরকার চাইছে ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (FATF) এর ধূসর তালিকা থেকে বেরিয়ে আসতে। সন্ত্রাসবাদীদের অর্থ জোগান দেওয়া নিয়ে পাকিস্তানের যে বদনাম রটেছে তা আগে ঘোঁচাতে হবে। সেজন্য পাক সরকার পার্লামেন্টে অর্থ তছরূপ প্রতিরোধ বিল ওআইসিটি ওয়াকফ সম্পত্তি বিল পেশ করা হয়েছিল। অথচ বিরোধীরা ঝামেলা পাকিয়ে বিল দুটি পাসই হতে দিলেন না। বিরোধী নেতারা এটা বুঝলেন না নিজেদের দুর্নীতি অনিয়ম ঢাকতে গিয়ে তাঁরা আসলে পাকিস্তানের পায়েই কুড়ুল মেরেছেন। এই বিল দুটি পাশ হলে আমার দুনিয়ার কাছে প্রমাণ দিতে পারতাম আমরা সন্ত্রাসবাদী সংগঠনে অর্থ জোগাই না। আমাদের আর্থিক স্বচ্ছতা রয়েছে। কিন্তু সেটা হল না। ফলে পাকিস্তানের গায়ে কলঙ্কের মতো লেগে থাকবে ধূসর তালিকাটা। নিজেদের দায়বদ্ধতা ঝেড়ে ফেলে দেশের সর্বনাশ করলেন বিরোধীরা। তাঁরা গা জোয়ারি করে ভোটে হারিয়ে দিলেন বিল দুটিকে। এতে সরকারকে অপদস্থ করা হল। কিন্তু পাকিস্তান অপদস্থ হল দুনিয়ার সামনে।”
সম্প্রতি, চাপের মুখে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরপত্তা পরিষদের তালিকা মেনে মুম্বই হামলার মুলচক্রী হাফিজ সইদ-সহ ৮৮টি জঙ্গি সংগঠন ও সেগুলির প্রধানদের বিরুদ্ধে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ইসলামাবাদ। যদিও সেই পদক্ষেপ কতটা কার্যকরী তা নিয়ে সংশয় রয়েছে বিশেলসকদের মতে। সূত্রের খবর, অক্টোবর মাসের মধ্যে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার বিষয়ে পাকিস্তান যদি নিজেদের অবস্থান না বদলায়। আন্তর্জাতিক আর্থিক দুর্নীতি নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের ২৭টি নির্দেশ মেনে জঙ্গি কার্যকলাপে ইন্ধন ও আর্থিক সাহায্য দেওয়া বন্ধ না করে। তাহলে তাদের ধূসর তালিকা থেকে নাম বাদ যাওয়ার কোনও প্রশ্নই। উলটে চরম পদক্ষেপের মুখোমুখি হতে হবে তাদের। ‘আরও বেশি ধূসর’ তালিকাভুক্ত হলেই পাকিস্তানের রুগ্ন অর্থ ব্যবস্থা ধসে পড়বে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অর্থ সাহায্য পাওয়াও কঠিন হয়ে উঠবে। ফলে ঋণের বোঝায় আরও জর্জরিত হবে পাকিস্তান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.