সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা কবলিত চিনের ইউহান থেকে ভারতীয় পড়ুয়া এবং নাগরিকদের ফিরিয়ে এনেছিল বিদেশমন্ত্রক। এবার ইরানেও সেই উদ্ধারকাজের প্রয়োজন হয়ে পড়ছে। চিনের বাইরে এশিয়ার এই দেশেই করোনার বলি সর্বোচ্চ। সেখানেই আটকে থাকা অন্তত আড়াইশো কাশ্মীরি ছাত্রছাত্রী। তেহরানের মেডিক্যাল কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তাঁরা পড়াশোনার জন্য গিয়েছেন। এবার তাঁরাও দেশে ফেরার জন্য কেন্দ্রের কাছে সাহায্যের আবেদন জানাচ্ছেন।
ইরানে হু হু করে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৪৩। আক্রান্ত প্রায় ছ’শো। মারণ জীবাণু ঘাঁটি গেড়েছে দেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট, উপ-স্বাস্থ্যমন্ত্রীর শরীরে। সংক্রমণের আশঙ্কায় বাতিল একাধিক উড়ান। এই পরিস্থিতিতে তেহরান ত্যাগের তোড়জোড় শুরু হয়েছে ভারতীয়দের মধ্যে। বিশেষত ছাত্রছাত্রীরা দেশে ফিরতে তৎপর। কিন্তু বিমান পরিষেবা বন্ধ থাকায় ফেরা সম্ভব হচ্ছে না। আশঙ্কা সঙ্গে নিয়ে বিমানবন্দরেই অপেক্ষা করতে হচ্ছে তাঁদের।
তেহরান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উম পারভেজ বলছেন, “আমি বাড়ি ফেরার জন্য ২৫ ফেব্রুয়ারি বেরিয়েছিলাম। কিন্তু উড়ান বাতিল, বন্ধ বিমানবন্দর। বাইরেই অপেক্ষা করছি। জানি না কবে, কীভাবে বাড়ি ফিরব। দয়া করে আমাদের জন্য কিছু করুন। একটা বিমানের বন্দোবস্ত করুন, যাতে আমরা ফিরতে পারি।” এক অভিভাবকের কথায়, “আমি ব্যাংকে চাকরি করি, কিন্তু গত ৫ দিন ধরে কাজে মনই দিতে পারছি না। মেয়ের জন্য এত ভাবনা হচ্ছে! ইউহানের মতো ইরান থেকেও ওদের ফেরানোর ব্যবস্থা করা হোক।” একই কথা কাশ্মীরের সমস্ত অভিভাবকদের মুখে। উদ্বেগের প্রহর গুনছেন তাঁরা।
শুধু পড়ুয়ারাই নয়, ইরানে তীর্থ করতে গিয়ে আটকে পড়েছেন কাশ্মীর, লেহ্-র বেশ কয়েকজন বাসিন্দাও। সে দেশে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত গদ্দাম ধর্মেন্দ্রর প্রতিক্রিয়া, আটকে পড়া বাসিন্দাদের ভারতে ফিরিয়ে দিতে তাঁরা ব্যবস্থা নিচ্ছেন। ইরানে যেভাবে নোভেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে, তাতে চিন্তা কমছে না কিছুতেই। এখন অপেক্ষা, ঘরের ছেলেমেয়েদের ঘরে ফেরাতে যদি কেন্দ্র কোনও ব্যবস্থা নেয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.