সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুন্দর চেহারা আর মিশুকে স্বভাবের জন্য বেশ জনপ্রিয় কানাডার দু’বারের প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তবে নির্বাচনে তেমন কাজ করেনি ‘পার্সোনাল চার্ম’৷ ফলে ম্যাজিক ফিগার ১৭০ নাগালের মধ্যে আসেনি৷ ৩৩৮ আসনের মধ্যে ১৫৭টি আসন পেয়েছে ট্রুডোর লিবারেল দল। এই সমীকরণেই কার্যত ‘কিং মেকার’ হয়ে দাঁড়িয়েছেন শিখ রাজনেতা জগমিত সিং৷ তাঁর সমর্থন আদায় করতে পারলে মসনদ ধরে রাখতে পারবেন ট্রুডো৷
কানাডায় মানবাধিকার নিয়ে লড়াই চালিয়ে খ্যাতি পেয়েছেন আইনজীবী জগমিত সিং৷ তাঁর দল নিউ ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ঝুলিতে রয়েছে ২৪টি আসন৷ ফলে ট্রুডোর কাছে নিজের গুরুত্বের কথা বুঝতে পড়ছেন জগমিত সিং৷ এবং নিজেকে তিনি যে ‘কিং মেকার’ ভাবতে শুরু করেছেন তা তাঁর কথাতেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে৷ নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর জগমিত বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে মাথায় রাখতে হবে হবে যে তাঁর সরকার সংখ্যালঘু৷ সকলের সঙ্গে মিলেই তাঁকে কাজ করতে হবে৷’ দক্ষিণপন্থী হিসেবে পরিচিত জগমিত আরও বলেন, ‘আমরা সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করবে এমন সরকার চাই৷ এমন কাউকেই আমরা মসনদে চাই না যাঁরা বড়লোকদের স্বার্থের কথা ভাববে৷’
উল্লেখ্য, নির্বাচনের কিছুদিন আগেই একটার পর একটা খারাপ খবর আসছিল ট্রুডোর কাছে। তাই এবারের নির্বাচন বেশ চিন্তার ছিল। গত মাসে ইস্তফা দিয়েছিলেন উইলসন রেবুল্ড নামে এক মন্ত্রী। তার পর চলতি মাসেই ট্রুডোর উপর আস্থা রাখেননি অন্য আর এক সদস্য। নাম জেন ফিলপট। বলা হয়, জেন আর ট্রুডোর সম্পর্ক আগে খুব ভাল ছিল। এখন ততটাই তিক্ত। জেনের বক্তব্য, ইস্তফার আগে বিচারমন্ত্রী উইলসন অভিযোগ করেছিলেন, একটি দুর্নীতি মামলা নিয়ে সরকার তাঁর উপরে অবৈধ ভাবে চাপ সৃষ্টি করছে। সেই ঘটনায় ট্রুডো সরকারের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেন। এই সবই প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর কপালে নতুন করে ভাঁজ ফেলছিল। সব মিলিয়ে এবার শেষরক্ষা করতে পারবেন কি না ট্রুডো তা সময় বলবে৷
[আরও পড়ুন: ‘বিশ্বাসঘাতক’ মার্কিন ফৌজের উপর পচা ডিম, আলু নিয়ে হামলা কুর্দদের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.