Advertisement
Advertisement
Justin Trudeau

ইস্তফা কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর, ভারত-বিদ্বেষেই খোয়াতে হল মসনদ!

ভারত-বিদ্বেষ এবং 'খলিস্তান প্রেমের' জন্য দলের অন্দরে ক্রমে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন তিনি। শেষমেশ চাপের মুখে গদি ছাড়তে হল তাঁকে।

Justin Trudeauannounces resignation as Canadian PM
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:January 6, 2025 9:47 pm
  • Updated:January 6, 2025 10:15 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে ইস্তফা দিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ভারত-বিদ্বেষ এবং ‘খলিস্তান প্রেমের’ জন্য দলের অন্দরে ক্রমে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন তিনি। শেষমেশ চাপের মুখে গদি ছাড়তে হল তাঁকে। আপাতত, পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত কার্যনির্বাহী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ চালাবেন তিনি।

কানাডার সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সোমবার কানাডার শাসকদল ‘লিবারেল পার্টি’র নেতা হিসেবেও পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন তিনি। নয় বছরের শাসনকালে তাঁর বিদেশনীতি মূলমন্ত্রই ছিল ভারত-বিদ্বেষ। কানাডার শিখ সম্প্রদায়ের ভোটব্যাঙ্ক হাতে রাখতে খলিস্তানিদের মুক্তহস্তে সাহায্য ও রসদ জুগিয়েছেন ট্রুডো। তাঁর আমলেই কানাডার মাটিতে ফুলেফেঁপে ওঠে নিষিদ্ধ ‘শিখস ফর জাস্টিস’ ও ‘বব্বর খালসা’র মতো খলিস্তানি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি। দেশটির একাধিক শহরে মন্দির ও ভারতীয় কনসুলেটগুলোকে নিশানা করে খলিস্তানিরা।

Advertisement

তবে সাম্প্রতিক সময়ে নয়াদিল্লি-অটোয়া কূটনৈতিক টানাপড়েন পৌঁছে গিয়েছিল পুরোদস্তুর সংঘাতে! গত বছর গত জুন মাসে কানাডায় খুন হয় ‘খলিস্তান টাইগার ফোর্সে’র প্রধান হরদীপ সিং নিজ্জর। বলে রাখা ভাল, ‘শিখস ফর জাস্টিস’-এর কানাডার শাখা হচ্ছে ‘খলিস্তান টাইগার ফোর্স’। ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে জড়িত ছিল নিজ্জর। কয়েকবছর আগেই ‘রেফারেন্ডাম-২০২০ প্রচারাভিযান’-এর দায়িত্বও পায় নিজ্জর। তাঁকে প্রায়শই ভ্যানকোভারের ভারতীয় দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভে সামিল হতে দেখা গিয়েছিল। ওই ঘটনার পরই ট্রুডো দাবি করেন, নিজ্জরের হত্যার নেপথ্যে ভারতের হাত রয়েছে। তবে অভিযোগের সমর্থনে আজ পর্যন্ত কোনও প্রমাণ দিতে পারেননি তিনি।

তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, ২০২৫ সালের অক্টোবরে কানাডায় নির্বাচন। এবার যে তাঁর পক্ষে মসনদে ফেরা অত্যন্ত কঠিন, সেটা বুঝতে পেরেছিলেন ট্রুডো। ভারত-বিদ্বেষ এবং ‘খলিস্তান প্রেমের’ জন্য দলের অন্দরে ক্রমে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন তিনি। লিবারেল পার্টির অধিকাংশই ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্কের পক্ষে। তাছাড়া, অর্থনৈতিক শৈথিল্য, কর্মসংস্থান, মুদ্রাস্ফিতী এবং বাণিজ্য নীতি নিয়েও যথেষ্ট ক্ষোভ তৈরি হয়। দিনকয়েক আগে এক জনমত সমীক্ষায় বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির জয়জয়কার রীতিমতো চিন্তায় ফেলে দেয় লিবারেলদের। তাই ট্রুডোকে সরিয়ে আপাতত ক্ষত মেরামতের চেষ্টা করছে তারা বলেই অনেকের ধারণা। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement