সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’ (Johnson & Johnson) বেবি পাউডার। কয়েক বছর ধরেই বিতর্ক অব্যাহত যাকে ঘিরে। এবার ফের বড়সড় জরিমানার মুখে সংস্থা। এক মার্কিন মহিলার পরিবারের অভিযোগ ছিল ওই পাউডার ব্যবহার করে তিনি ঘাতক ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই এবার ৪৫ মিলিয়ন ডলারের জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ ‘জনসন অ্যান্ড জনসন এবং তার স্পিন অফ তথা সহযোগী সংস্থা কেনভিউকে। এই নয়া সংস্থার বিরুদ্ধে এই ধরনের রায় এই প্রথম।
গত শুক্রবার শিকাগোয় বিচারকরা রায় দেন, টেরেসা গার্সিয়ার মৃত্যুর ৭০ শতাংশ দায় কেনভিউ। বাকি ৩০ শতাংশ দায় জনসন অ্যান্ড জনসন ও তাদের একটি ইউনিটের। ২০২০ সালে ক্যানসার আক্রান্ত হন টেরেসা। তাঁর মেসোথেলিওমা হয়েছিল। এটা এমন এক ক্যানসার, যা অ্যাসবেস্টসের সংস্পর্শে এলে হয়। প্রসঙ্গত, জনসন অ্যান্ড জনসনের বেবি পাউডারে অ্যাসবেস্টসের নমুনা পাওয়া গিয়েছি। অ্যাসবেস্টস শিশু শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। পূর্ণবয়স্কদের জন্য তা ডেকে আনতে পারে বিপদ। টেরেসার পরিবারের অভিযোগ, ছিল জনসন অ্যান্ড জনসন কেনভিউ ভালো করেই জানত তাদের বেবি পাউডারে অ্যাসবেস্টস রয়েছে। তবুও তারা তা বিক্রি করছিল।
এদিকে জনসন অ্যান্ড জনসন বরাবরই বলে এসেছে তাদের তাদের বেবি পাউডারের (Baby powder) কারণে ক্যানসার (Cancer) হয় না। এক শতাব্দী ধরে এই পণ্য তারা প্রস্তুত করে আসছে। ১৮৯৪ সাল থেকে ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’ বেবি পাউডার বিক্রি হয়ে চলেছে। পরিবারবন্ধুর প্রতীক হয়ে ওঠায় সংস্থার প্রতীকী পণ্য হয়ে উঠেছিল এটিই। কিন্তু আমেরিকার ৩৫ হাজার মহিলা জরায়ুর ক্যানসারের জন্য ওই সংস্থাকে দায়ী করে মামলা দায়ের করার পর থেকেই মার্কিন মুলুকে ক্রমেই কমতে শুরু করে পাউডারটির চাহিদা। সেই থেকে পরিস্থিতি ক্রমেই প্রতিকূল হয়েছে। এবার ফের বড় অঙ্কের জরিমানার মুখে পড়ায় অস্বস্তি যে আরও বাড়ল তা নিশ্চিত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.