সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেন (Ukraine) নিয়ে পুতিনকে (President Putin) ফের কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন জো বাইডেন (Joe Biden)। মার্কিন (US) প্রেসিডেন্ট শনিবার জানিয়ে দিলেন ইউক্রেনে মস্কো যদি আগ্রাসন না থামায়, তাহলে রাশিয়াকে (Russia) এর জন্য ‘কড়া মূল্য’ চোকাতে হবে।
গত সপ্তাহেই কথা হয়েছে বাইডেন ও রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের। সেই প্রসঙ্গে শনিবার সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ”আমি এটা পুতিনের কাছে পরিষ্কার করে দিয়েছিলাম, যে রাশিয়া যদি ইউক্রেনের দিকে এগোয় তাহলে তাদের অর্থনৈতিক পরিণতি ভয়ংকর ধ্বংসাত্মক হতে চলেছে।”
বেশ কয়েক মাস ধরেই ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে মস্কোপন্থী বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে। এবার কি সেখানে মার্কিন সেনা পাঠানো হবে? এপ্রসঙ্গে বাইডেন জানাচ্ছেন, তেমন কোনও পরিকল্পনা তাঁদের ছিল না। কিন্তু আমেরিকা ও ন্যাটোকে তাদের প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করার জন্য পূর্ব দিকের ন্যাটো দেশগুলিতে আরও বাহিনী পাঠাতেই হবে।
ইউক্রেনকে কেন্দ্র করে ক্রমেই উত্তেজনা বাড়ছে রাশিয়া ও আমেরিকার মধ্যে। সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত দেশটির পূর্বাঞ্চলে ‘গণহত্যা’র অভিযোগ তুলেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। অন্যদিকে, রুশ হামলা ঠেকাতে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেন্সকির সঙ্গে ইতিমধ্য়েই ফোনে কথা বলেছেন বাইডেন। একইসঙ্গে ন্যাটো জোটের অন্তর্ভুক্ত ইউরোপের দেশগুলির রাষ্ট্রনায়কদের সঙ্গেও ফোনালাপ সেরেছেন তিনি। নিজের বার্তায় বাইডেন স্পষ্ট জানিয়েছেন, বিদেশি আগ্রাসনের পরিস্থিতিতে কিয়েভের পাশে দাঁড়াবে ওয়াশিংটন। সেই সঙ্গে সরাসরি হুঁশিয়ারিও দিলেন পুতিনকে।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই ইউক্রেনের মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স তথা সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের কিরইয়োল বুদানভ জানান, ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় ৯২ হাজার সেনা মজুত করেছে রাশিয়া। মার্কিন পত্রিকা ‘মিলিটারি টাইমস’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বুদানভের দাবি, আগামী জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারি মাসে হামলা চালাতে পারে মস্কো। শুরুতে রুশ যুদ্ধবিমান ও গোলন্দাজ বাহিনী ইউক্রেনের সামরিক পোস্টগুলিতে হামলা চালাবে। তারপর আসবে রুশ পদাতিক বাহিনী। তবে সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে রাশিয়া।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.