সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিরোশিমা-নাগাসাকির বিভীষিকা আজও বিদ্যমান। আণবিক দানবের গ্রাসে যে সভ্যতা মুহূর্তে লোপ পেতে পারে তা স্পষ্ট। এহেন পরিস্থিতিতে ইউক্রেনকে (Ukraine) কেন্দ্র করে আবারও সংঘাতের পথে হাঁটছে দুই মহাশক্তি রাশিয়া ও আমেরিকা। এবার উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে হুঁশিয়ারি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
মঙ্গলবার হোয়াইট হাউস থেকে পুতিনের সঙ্গে ভারচুয়াল বৈঠকে বসেন বাইডেন। প্রায় ঘণ্টা দুয়েকের কথোপকথনে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল ইউক্রেন। কূটনৈতিক সৌজন্যের আড়ালে আলপচারিতায় দুই দেশের মধ্যে টানাপোড়েন স্পষ্ট হয়ে ওঠে বলে সূত্রের খবর। রুশ প্রেসিডেন্টকে বাইডেন স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ইউক্রেনে মস্কো আগ্রাসন না থামালে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত আমেরিকা। অবশ্য মার্কিন হুঁশিয়ারিতে বিশেষ বিচলিত হননি পুতিন বলেই ক্রেমলিন সূত্রে খবর। বলে রাখা ভাল, ইউক্রেন সরকারের আশঙ্কা, আগামী বছরের গোড়াতেই তাদের উপরে হামলা চালিয়ে গোটা দেশ দখল করে নেবে মস্কো। আর রুশ ফৌজ ইউক্রেনে প্রবেশ করলে ওয়াশিংটন সামরিক পদক্ষেপ করবে, নাকি শুধু আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেই থেমে থাকবে, তা স্পষ্ট হয়নি বাইডেনের কথাতেও।
বৈঠকের পর মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান জানান, পরিস্থিতি বুঝে কড়া পদক্ষেপ করবে আমেরিকা। রাশিয়ার ক্রাইমিয়া দখল নিয়ে তিনি বলেন, “২০১৪ সালে আমরা যা করিনি এবার তা করতে আমরা প্রস্তুত। আমেরিকার উদ্বেগের বিষয়ে পুতিনকে স্পষ্ট জানিয়েছেন প্রসিডেন্ট বাইডেন।” মস্কোর বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়ে সুলিভান আরও বলেন, “রাশিয়া যদি গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্প চালু রাখতে চায় তাহলে তারা ইউক্রেনে হামলা চালাবে না।” উল্লেখ্য, রুশ অর্থনীতির একটা বড় অংশ নির্ভর করে পেট্রোপণ্য রপ্তানির উপর। ইউরোপে গ্যাস জোগান দিয়ে বিশাল অঙ্কের বিদেশি মুদ্রা আয় করে মস্কো। সেই দুর্বল জায়গায় এবার চাপ দিয়েছে ওয়াশিংটন।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই ইউক্রেনের মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স তথা সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের কিরইয়োল বুদানভ জানান, ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় ৯২ হাজার সেনা মজুত করেছে রাশিয়া। মার্কিন পত্রিকা ‘মিলিটারি টাইমস’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বুদানভের দাবি, আগামী জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারি মাসে হামলা চালাতে পারে মস্কো। শুরুতে রুশ যুদ্ধবিমান ও গোলন্দাজ বাহিনী ইউক্রেনের সামরিক পোস্টগুলিতে হামলা চালাবে। তারপর আসবে রুশ পদাতিক বাহিনী। তবে সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে রাশিয়া।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.