সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে আসার সম্ভাবনা ক্ষীণ চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চান জিনপিং যেন ভারতে আসেন। আমেরিকার সঙ্গে চিনের যে আদায়-কাঁচকলায় সম্পর্ক তা কারোর অজানা নয়। দু’দেশের নানা মতবিরোধের মধ্যেও চিনের প্রেসিডেন্টের ভারতসফর নিয়ে আশাবাদী বাইডেন।
আসন্ন জি-২০ সম্মেলনের আয়োজক দেশ ভারত। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা এলেও ভারতে আসছেন না রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এবার অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে চিনের প্রেসিডেন্ট জিনপিংকে নিয়েও। তারপরই কমিউনিস্ট দেশটির রাষ্ট্রপ্রধানের ভারতে না আসা নিয়ে মুখ খুললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বাইডেন বলেন, “আশা করছি জিনপিং ভারতে যাবেন। জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেবেন।” এখানেই প্রশ্ন উঠছে বাইডেন কেন চান জিনপিং ভারতে যান? বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সম্মেলনে ভারত,আমেরিকা ও চিনের একই মঞ্চে আসা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। তিন রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে আলোচনা হতে পারে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল, চিন সাগর ও মুক্ত বাণিজ্যপথের সমাধান সূত্র নিয়ে।
গতকালই রয়টার্স সূত্রে খবর মিলেছিল, জি-২০ সম্মেলনের জন্য ভারতে নাও আসতে পারেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তাঁর বদলে এই সামিটে যোগ দিতে পারেন চিনের প্রিমিয়ার লি কিয়াং। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন, ম্যাপ বিতর্কের ছায়া পড়েছে জি-২০ সামিটে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ আগস্ট দেশের নতুন সরকারি ম্যাপ প্রকাশ করে চিন। সেখানে অরুণাচল প্রদেশকে নিজের বলে দাবি করেছে তারা। এমনকী আকসাই চিনও নাকি তাদের, দাবি বেজিংয়ের। এরপরই জিনপিং প্রশাসনের নিন্দায় সরব হয় মোদি সরকার। চিনের এমন পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা করে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর বলেন, এইরূপ ম্যাপ প্রকাশই চিনের অভ্যাস। ভারতের এমন কটাক্ষের পর পালটা আক্রমণ করে চিনের বিদেশমন্ত্রক জানায়, ”আমরা আমাদের ভূখণ্ডের সীমানা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। আইন মেনেই নতুন ম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। এই নিয়ে বেশি ভাবার কোনও কারণ নেই।” এরপরই নানা মহলে জল্পনা শুরু হয়, আদৌ কী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মুখোমুখি হবেন জিনপিং?
প্রসঙ্গত, আগামী ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর ভারতে অনুষ্ঠিত হতে চলা জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে ৭ সেপ্টেম্বর ভারতে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। একই মঞ্চে মোদি-বাইডেন-জিনপিংকে দেখার জন্য মুখিয়ে গোটা দুনিয়া। অন্যদিকে, কমিউনিস্ট দেশটির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে একজোট হয়েছে নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটন। এই প্রেক্ষাপটে, ভারতের মাটিতে দাঁড়িয়ে দুই মিত্রদেশ বেজিংকে কী বার্তা দেয় তার দিকে নজর রয়েছে সকলের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.