সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জি-২০ সম্মেলনের (G20) মধ্যেই বৈঠকে বসেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden) ও চিনের প্রিমিয়ার লি কিয়াং (Li Qiang)। যদিও দুই রাষ্ট্রপ্রধানের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল না। আচমকাই আলোচনায় বসার সিদ্ধান্ত নেন দুই ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ রাষ্ট্রের প্রধান। যদিও সম্মেলন শেষ হওয়ার আগে পর্যন্ত তাঁদের বৈঠকের বিষয়টি গোপন ছিল। প্রসঙ্গত, জি-২০ সম্মেলন শুরুর আগে বাইডেন জানিয়েছিলেন চিনা (China) প্রিমিয়ারের সঙ্গে দেখা করতে আগ্রহী নন তিনি।
গত বছর বালিতে আয়োজিত জি-২০ সম্মেলনে চিন ও আমেরিকার প্রেসিডেন্টের বৈঠক হয়েছিল। বাইডেন-জিনপিংয়ের সেই বৈঠকের পরে কেটে গিয়েছে দশ মাস। এই সময়ের মধ্যে দুই দেশের সম্পর্কে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমেরিকার (USA) আকাশে গুপ্তচর বেলুন পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে চিনের বিরুদ্ধে। মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর ঘিরেও বারবার অসন্তুষ্ট হয়েছে বেজিং। তাই নিয়ে দুই দেশের মধ্যে টানাপোড়েন হয়েছে। জি-২০ সম্মেলনে জিনপিংয়ের অনুপস্থিতি নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন বাইডেন।
তবে জি-২০ সম্মেলন চলাকালীন দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে শান্তিপূর্ণ আলোচনা হয়েছে বলেই দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ভারত থেকে ভিয়েতনামে সফরে গিয়েছেন বাইডেন। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “চিনের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদাধিকারীর সঙ্গে বৈঠক করেছি। দুই দেশের প্রতিনিধি দলের মধ্যেও কথা হয়েছে। দুই দেশের সম্পর্কে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার বিষয়টি আলোচনায় উঠে এসেছে। তবে আমাদের আলোচনার মধ্যে কোনও দ্বন্দ্ব ছিল না।” যদিও এই বৈঠক নিয়ে চিনের তরফে কিছু বলা হয়নি।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জি-৭ সম্মেলনের পরেই চিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি করতে বার্তা দিয়েছিলেন বাইডেন। সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়, চিনের সঙ্গে আমেরিকার হটলাইন চালু হচ্ছে না কেন? উত্তরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আসলে ওই ‘বোকা বেলুনটার’ জন্য আমাদের সম্পর্ক একটু খারাপ হয়েছিল। তবে কয়েকদিনের মধ্যেই আবার আগের মতোই আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পথে হাঁটবে দুই দেশ।” যদিও তারপর বেশ কয়েক মাস কেটে গেলেও সেভাবে আলোচনায় বসেনি দুই দেশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.