সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘ চার ঘণ্টা ধরে বৈঠক করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চিনের রাষ্ট্রপ্রধান শি জিনপিং। আলোচনায় উঠে এল ইউক্রেন ও মধ্যপ্রাচ্য-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিশ্বের এই দুই শক্তিধর দেশের মধ্যে সম্পর্কের পারদ গলে কি না সেদিকে নজর ছিল গোটা বিশ্বের। কিন্তু এই মেগা বৈঠক যে সেভাবে ফলপ্রসূ হয়নি তা স্পষ্ট হয়ে গেল বাইডেনের কথায়। জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের পরই ফের তাঁকে ‘স্বৈরাচারী’ বলে কটাক্ষ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
বুধবার সান ফ্রান্সিস্কোর দক্ষিণে প্রায় ৩০ মাইল দূরে ফিলোলি এস্টেটের একটি বাগানবাড়িতে বৈঠকে বসেন বাইডেন (Joe Biden) ও জিনপিং। চার ঘণ্টা আলোচনা হয় দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে। বৈঠক শেষে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে জিজ্ঞাসা করা হয় তিনি কি এখনও জিনপিংকে ‘একনায়ক’ বলেই মনে করেন? এর উত্তরে বাইডেন স্পষ্ট বলেন, “ওনাকে দেখে তাই মনে হয়। জিনপিং একজন একনায়ক, কারণ তিনি চিনের মতো একটি কমিউনিস্ট দেশ শাসন করছেন।” তিনি আরও বলেন, “চিনের সরকার আমাদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।” তাঁর এই বক্তব্যের পর বোঝাই গেল দুদেশের মধ্যে সম্পর্ক ঠিক হওয়ার পথ খুব একটা প্রশস্ত নয়।
এদিনের বৈঠকে আমেরিকাকে খোঁচা দিতে পিছপা হননি চিনের প্রেসিডেন্টও। তাইওয়ান প্রসঙ্গ তুলে কড়া বার্তা দেন জিনপিং (Xi Jinping)। চিনা সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, তিনি বলেন, “স্বাধীন তাইওয়ান নীতিকে সমর্থন না করার প্রতিশ্রতি দিয়েছেন আপনারাই (আমেরিকা)। এবার তা প্রমাণ করুন।” মার্কিন রাষ্ট্রপ্রধানকে ফের ‘ওয়ান চায়না’ নীতির কথা মনে করিয়ে দেন জিনপিং। কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেন, “ফের গড়ে উঠবে অখণ্ড চিন। শান্তি বজায় রাখতেই হবে। তবে সমস্যার সমাধান খোঁজা জরুরি।” কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, চিনা প্রেসিডেন্টের এই ‘স্পষ্ট’ কথা খুব একটা ভালো ভাবে নেননি বাইডেন।
উল্লেখ্য, এর আগেও জিনপিংকে ‘একনায়ক’ বলে তোপ দেগেছিলেন বাইডেন। গত জুন মাসে মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের চিন সফরের পর বাইডেন চিনের প্রেসিডেন্টকে একনায়ক বলে কটাক্ষ করেছিলেন। কিন্তু সেই ‘একনায়কে’র সঙ্গেই আবার দেখা করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন। অবশেষে জিনপিংয়ের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হল। একাধিক বিষয় বৈঠকও হল। কিন্তু নিজের অবস্থান থেকে সরলেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.