সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক মাসে ১৫৯ ঘণ্টা ওভারটাইম করতে হয়েছিল। ছুটি পেয়েছিলেন মাত্র দু’দিন। কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত কাজের চাপ সহ্য করতে না পেরে মারাই গেলেন জাপানের এক মহিলা সাংবাদিক। ঘটনায় ফের একবার প্রশ্নের মুখে সূর্যোদয়ের দেশের কর্মসংস্কৃতি।
[‘ঝড়ের পূর্বাভাস’ বলে সেনাকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে ট্রাম্প]
ঘটনাটি বছর চারেক আগের। জাপানের পাবলিক ব্রডকাস্টিং সংস্থা NHK-তে চাকরি করতেন মিয়া সাদো নামে ওই মহিলা সাংবাদিক। রাজনৈতিক সংবাদদাতা ছিলেন তিনি। টোকিও-র স্থানীয় একটি নির্বাচন ‘কভার’ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল মিয়া সোদাকে। কিন্তু, স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে রিপোর্ট করার তিন দিন পর, ২০১৩ সালে জুলাই মাসে আচমকাই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনাটি এতদিন চেপে রেখেছিলেন NHK-র কর্তারা। চলতি সপ্তাহে মিয়া সাদোর মৃত্যুর খবরটি প্রকাশ্যে আসে। জাপানের লেবার ইন্সপেক্টর জানিয়েছেন, কর্মক্ষত্রে অতিরিক্তি কাজের চাপেই মৃত্যু হয়েছে ৩১ বছর বয়সী এই মহিলার সাংবাদিকের। জানা গিয়েছে, মৃত্যুর আগে একমাস টানা ১৫৯ ঘণ্টার ওভারটাইম করেছিলেন মিয়া সাদো। ছুটি পেয়েছিলেন মাত্র দু’দিন। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবে চাপে পড়ে গিয়েছে বহু জাপানি সংস্থাই। কারণ জাপানে কর্মীদের কর্মক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় কাটাতে হয়। ফলে অনেক সময়ই অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁরা। বস্তুত, মিয়া সাদো যে সংস্থায় কাজ করতেন, জাপানের সেই পাবলিক ব্রডকাস্টিং সংস্থা NHK-ও বিবৃতি দিয়ে সংস্থার কর্মসংস্কৃতি ও স্থানীয় নির্বাচন কভার করার পদ্ধতি সংক্রান্ত সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছে।
[আইএসআইয়ের সঙ্গে জঙ্গিদের আঁতাঁতের কথা স্বীকার পাকিস্তানের]
তবে মিয়া সাদোই প্রথম নন, জাপানে ২০১৫ সালে কর্মক্ষেত্রে বাড়তি কাজের চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী হয়েছিলেন বিজ্ঞাপন সংস্থার এক কর্মীও। প্রসঙ্গত, জাপানে কাজের একাগ্রতা বোঝার জন্য কর্মীদের ওভারটাইম করানো হয়। কিন্তু, একের পর এক মৃত্যুর ঘটনায় ওভারটাইম করানো নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বস্তুত, কর্মীদের ১০০ ঘণ্টার বেশি ওভারটাইম করালে , সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে জরিমানা করার নিয়ম চালু করেছে জাপান সরকার। কিন্তু, তাতেও বাস্তব পরিস্থিতির খুব একটা বদল হয়নি বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের। সমীক্ষা বলছে, ২০১৬ সালের মার্চ পর্যন্ত বাড়তি কাজের চাপে জাপানে ২০০০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
[পারমাণবিক অস্ত্রাগারে হামলা চালালে রেহাই পাবে না ভারত, হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.