সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রেতা সন্তুষ্টি শেষ কথা। একটি বিখ্যাত বহুজাতিক সংস্থার এটাই স্লোগান। গ্রাহককে খুশি করতে ব্যবসায়ীদের ভাবনার শেষ নেই। পর্যটকদের কাছে আকর্ষণ বাড়াতে জাপানের এক বারের মালিক অভিনব কৌশল নিয়েছেন। সেখানে ওয়েটার হিসেবে নেওয়া হয়েছে বেশ কিছু বানরকে। এর ফলও হাতেনাতে পাচ্ছেন কায়াবুকি বারের মালিক কাওরু ওটসুকা। বাঁদরামি নয়, বাধ্য হয়ে সব কাজ করছে হনুগুলি। ওয়েটারের ভূমিকায় বাঁদরদের দেখে উৎসাহীরা ঢুঁ মারছেন জাপানের ওই রেস্তরাঁয়। ক্রেতাদের ভিড়ে গমগম করে কায়াবুকি বার।
রেস্তরাঁ কর্মীর ভূমিকায় বাঁদর। এমন আইডিয়া কীভাবে পেলেন? এর জবাবে বার মালিক কাওরু ওটসুকা জানান, কয়েক বছর আগে এক বন্ধুর থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বানর পান তিনি। বানরটির নাম ফুকুচান। বন্ধুই বানরটিকে তাকে ব্যবসায় কাজে লাগানোর পরামর্শ দেন। এর জন্য কয়েকদিন ফুকুচানকে ট্রেনিংও দেন কাওরু। শুরুতে ক্রেতাদের ঠান্ডা পানীয় কিংবা টিস্যু পেপারের মতো ছোটখাটো জিনিস পরিবেশন করত বাঁদরটি। তারপর কাওরুর মনে হয় বাঁদরটিকে আরও কাজ করানো যাবে। ধীরে ধীরে ফুকুচান ক্রেতাদের থেকে অর্ডার নেওয়া এবং তা সরবরাহের কাজ করতে থাকে। তাতেও সে দক্ষতার ছাপ রাখে। ফুকুচানকে দেখে বন্ধুর থেকে আরও কয়েকটি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বানরকে কাওরু বারের কাজে লাগান। এমনকী নতুন ওয়েটারদের বাচ্চারাও নিয়মিত বারে আসে। তবে তারা পরিবেশন নয়, ক্রেতাদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেয়। ক্রেতারাও বানর ওয়েটারদের সঙ্গ পেয়ে বেজায় খুশি। কীভাবে তারা এই কাজ করে চলেছে এই নিয়ে তাদের কৌতুহল যেন যায় না।
তবে পশুপ্রেমী সংগঠনগুলি অবশ্য বারে ওয়েটার হিসারে বাঁদর ব্যবহার নিয়ে সরব হয়েছে। তাদের অভিযোগ এই কাজ পশুদের দিয়ে করানো ঠিক নয়। তবে বাঁদরদের দিয়ে এমন কাজ করাতে এতটুকু লজ্জিত নন টোকিওর বাসিন্দা। নিজের বানর কর্মীদের সম্পর্কে কাওরু ওটসুকা বলেন, পরিবারের সদস্যদের থেকেও ওরা বেশি কাছের। যত্নের কোনও অভাব হয় না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.