সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফুকুশিমা পরমাণু কেন্দ্র থেকে সমুদ্রে ‘বিষাক্ত’ জল ছেড়েছে জাপান। আর এতেই রেগে লাল চিন। তাই চিনে বসবাসরত জাপানিদের উদ্দেশে সতর্কবার্তা জারি করল টোকিও।
বৃহস্পতিবার প্রশান্ত মহাসাগরে ফুকুশিমা পরমাণু কেন্দ্রের ‘বিষাক্ত’ জল ছাড়ার প্রক্রিয়া শুরু করে জাপান (Japan) । পরমাণু কেন্দ্রটির পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সংস্থা TEPCO জানায়, সমুদ্রের পরিস্থিতি ও আবহাওয়া জল ছাড়ার পক্ষে অনুকূল। তাই কলের মুখ খুলে দেওয়া হয়। এই প্রক্রিয়া পরিদর্শনে অকুস্থলে ছিল রাষ্ট্রসংঘের পরমাণু নজরদারি সংস্থা ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটোমিক এনার্জি অ্যাসোসিয়েশনে’র একটি বিশেষজ্ঞ দল।
জাপানের এই পদক্ষেপে ক্ষোভে ফুঁসছেন পরিবেশপ্রেমীরা। রীতিমতো বিক্ষোভ শুরু হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। তেজস্ক্রিয়তার আশঙ্কায় প্রবল আপত্তি জানিয়েছে চিনও। এই প্রেক্ষাপটে চিনে বসবাসকারী নাগরিকদের উপর হামলার আশঙ্কা করছে জাপান। শুক্রবার প্রবাসীদের উদ্দেশে সতর্কবার্তা জারি করে টোকিও। বলা হয়েছে, ‘জনসমক্ষে জাপানিতে ফিসফিস করে কথা বলবেন। সতর্ক থাকবেন। অযথা ঝামেলায় জড়াবেন না।’
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে জাপানের পূর্ব উপকূলে আঘাত হানে সুনামি। দানবীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফুকুশিমা আণবিক কেন্দ্র। তেজস্ক্রিয় বিকিরণের আশঙ্কায় কেঁপে ওঠে দেশটি। তারপরই ফুকুশিমার ওই কেন্দ্রটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। আসলে ভয়াবহ সুনামি ও ভূমিকম্পের ধাক্কায় প্রবল ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্র। সেই সময় ক্ষতিগ্রস্ত চুল্লিগুলিকে ঠান্ডা করতেই ১০ লক্ষ মেট্রিক টন জল ব্যবহার করবে জাপান। গত মাসে সেই জল সমুদ্রে ফেলার অনুমতি দেয় ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি’ (IAEA)। ফলে তেজস্ক্রিয় সেই জল মিশবে সমুদ্রে। টোকিও অবশ্য দাবি করছে, ওই জল নিরাপদ। রেডিও অ্যাক্টিভ আইসোটোপগুলিকে সরাতে জল ফিল্টার করেই ছাড়া হবে। তবু আতঙ্কিত দক্ষিণ কোরিয়া। ভয়ে ভয়ে রয়েছেন সমুদ্র উপকূলের মৎস্যজীবী ও দোকানদাররা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.