সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাংবাদিক জামাল খাশোগ্গি হত্যা মামলায় বিচার আদতে প্রহসন মাত্র। প্রভাবশালী সৌদি রাজ পরিবারের বিরুদ্ধে এবার উঠছে এমন অভিযোগই। একাধিক তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ, এই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম ‘কান্ডারি’ সৌদি যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন বা এমবিএস। তবে গোটা বিচার প্রক্রিয়ায় কোথাও তাঁর নাম উল্লেখ করা হয়নি।
গত সোমবার, বহু চর্চিত ওয়াশিংটন পোস্ট-এর কলামিস্ট জামাল খাশোগ্গি হত্যামামলায় রায় দেয় সৌদি আরবের একটি আদালত। এই খুনের ঘটনায় দোষী ৫ জনকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক। একই সঙ্গে আরও ৩ অভিযুক্তের ২৪ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর ইস্তানবুলের সৌদি দূতাবাসে খুন হন সাংবাদিক জামাল খাশোগ্গি। দ্বিতীয়বার বিয়ের জন্য প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ করতে সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। সৌদি রাজ পরিবারের পাশাপাশি সে দেশের যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনের কড়া সমালোচক হিসেবে পরিচিত খাশোগ্গির খুনের পরেই সরব হয় তুরস্ক-সহ একাধিক দেশ। প্রাথমিকভাবে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে রিয়াধ। পরে অবশ্য বলা হয়, গুপ্ত ঘাতকের হাতে খুন হয়েছেন খাশোগ্গি।
আন্তর্জাতিক চাপের মুখে বেশ পড়ে তদন্তের নির্দেশ দেন সৌদি আরবের রাজা সলমান। প্রায় ২১ জনকে গ্রেপ্তারও করা হয়। এই মামলায় ‘হাই-প্রোফাইল’ অভিযুক্তদের মধ্যে অন্যতম সৌদি রাজ পরিবারের উপদেষ্টা সৌদ আল-খাতানি ও সৌদি আরবের ডেপুটি ইন্টেলিজেন্স চিফ আহমেদ আল-আসিরি। মামলায় আল-আসিরির নাম জড়ালেও যুবরাজ সলমনের ঘনিষ্ঠ আল-খাতানির নাম ওঠেনি। তবে পদ থেকে সরলেও বেকসুর খালাস পেয়েছেন আল-আসিরি।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে, মার্কিন সংস্থা সিআইএ ও তুরস্কের তদন্তকারীদের দাবি , যুবরাজ সলমনের নির্দেশেই হত্যা করা হয় খাশোগ্গিকে। এই হত্যাকাণ্ডে যুবরাজের নাম চাপা দিতেই তড়িঘড়ি ৫ ব্যক্তিকে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়েছে।সৌদি রাজ পরিবারের বিরোধীদের দাবি, যুবরাজ এমবিএস-কে বাঁচাতে বিচারের নামে প্রহসন করেছেন রাজা সলমন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.