Advertisement
Advertisement

Breaking News

তর্জন-গর্জনই সার, জনগণের রায়ে নির্বাচনে ডাহা ফেল হাফিজের দল

নির্বাচনে পেল না একটাও আসন৷

Jamaat-ud Dawa supported Allah-o-Akbar Tehreek party could win a seat
Published by: Tanujit Das
  • Posted:July 29, 2018 4:24 pm
  • Updated:July 29, 2018 4:24 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্বাচনী প্রচারপর্বে তার মুখে শোনা গিয়েছে অনেক হুমকির বুলি৷ নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরেই সব শেষ৷ সদ্য সমাপ্ত পাক নির্বাচনে গোহারা হারল মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড তথা পাক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়া প্রধান হাফিজ সইদ৷ পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশে থেকে নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে একটি আসনেও জয় লাভ করতে পারল না জামাতের মদতপুষ্ট রাজনৈতিক সংগঠন আল্লা-ও-আকবর তেহরিক৷ এই জঙ্গি মনোভাবাপন্ন রাজনৈতিক দলকে কার্যত ছুঁড়ে ফেলে দিল পাকিস্তানের সাধারণ নাগরিকরা৷ প্রমাণ করল, গণতন্ত্রই শেষ কথা বলে, সেখানে মৌলবাদের কোনও স্থান নেই৷

[১৪ আগস্টের আগেই কি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ ইমরান খানের? জল্পনা তুঙ্গে]

Advertisement

পাক নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, কার্যত জমানত জব্দ হয়েছে আল্লা-ও-আকবর তেহরিকের টিকিটে লড়াই করা প্রতিটি জঙ্গি প্রার্থীর৷ সমগ্র দেশ থেকে মাত্র ১৭১,৪৪১টি ভোট পেয়েছে তারা৷ একই অবস্থা হয়েছে আরও একটি উগ্রবাদী রাজনৈতিক দল তেহরিক-ই-লাবাইক পাকিস্তানের৷ জাতীয় আইনসভার ১৫০টি আসনে ও প্রাদেশিক আইনসভার একশোর বেশি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে তাদের প্রার্থীরা৷ মাত্র ২,১৯১,৬৭৯ ভোট পেয়ে সিন্ধ প্রদেশের দুটি আসনে জয়ী হয়েছে তেহরিক-ই-লাবাইক পাকিস্তানের দুই প্রার্থী৷ নির্বাচনে ডাহা ফেল করার তালিকায় রয়েছে, মুত্তাহিদা মজলিস-ই-আলম পাকিস্তান ও জামায়ত উলেমা-ই-ইসলাম সামির মতো বেশ কয়েকটি পাক উগ্রবাদী সংগঠন৷

[তছনছ নাগা জঙ্গিদের গোপন ঘাঁটি, বড়সড় অভিযানে নামল মায়ানমার সেনা]

প্রসঙ্গত, পাক সাধারণ নির্বাচনের ঘোষণা পর্ব থেকেই ভোটে লড়াইয়ের জন্য চেষ্টা চালায় জামাতের রাজনৈতিক সংগঠন মিল্লি মুসলিম লিগ৷ তবে, তাদের রাজনৈতিক দল হিসাবে রেজিস্ট্রেশন দিতে অস্বীকার করে পাক নির্বাচন কমিশন৷ কমিশনের নির্দেশকে কার্যত তোয়াক্কা না করেই নির্বাচনে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নেয় জামাত-উদ-দাওয়া ও তার প্রধান হাফিজ সইদ৷ বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের টিকিটে জঙ্গি প্রার্থী দাঁড় করানোর কৌশল নেয় তারা৷ পাকিস্তানের একাধিক স্থানে পার্টি অফিস খুলে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই জঙ্গি প্রার্থীদের হয়ে চলে ক্যাম্পেন৷ আর এই সমস্ত ক্ষেত্রেই পিছন থেকে সাহায্য কলকাঠি নাড়ে আন্তর্জাতিক কালো তালিকাভুক্ত জঙ্গি হাফিজ সইদ৷ আর সামনে এগিয়ে দেয় তার অন্যতম সহযোগী আবদুল রেহমান মাক্কি, ছেলে তালহা সইদ ও জামাই খালিদ ওয়ালিদকে৷ কিন্তু তাদের সমস্ত ইচ্ছায় জল ঢেলে দিল পাক জনগণ৷ নির্বাচনে মুখ পুড়িয়ে আবার সেই গর্তেই ফিরে গেল সপারিষদ হাফিজ সইদ৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement