সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বন্যায় বিপর্যস্ত ইন্দোনেশিয়া। নতুন বছরের প্রথমদিন থেকে শুরু হওয়া প্রবল বৃষ্টিতে ভাসছে জাকার্তা-সহ একাধিক এলাকা। ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ নিরসন সংস্থার খবর অনুযায়ী, ইতিমধ্যে প্রবল বর্ষণ ও ভূমিধসে প্রাণ হারিয়েছেন ৪৩ জন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। এবার এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মোকাবিলা করতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নিল ইন্দোনেশিয়া। বৃষ্টি কমাতে মেঘ লক্ষ্য করে ছড়ানো হচ্ছে নুন (সোডিয়াম ক্লোরাইড)। বিজ্ঞানের ভাষায় এই প্র্ক্রিয়াকে বলা হয়, ‘ক্লাউড সিডিং‘ (Cloud Seeding)। এর ফলে আকাশে মেঘ জমাট বাঁধতে পারে না।
জানা গিয়েছে, বিমানের সাহায্যে আকাশের জমাটবাঁধা মেঘ লক্ষ্য করে লবণ ছড়ানো হচ্ছে। উদ্দেশ্য, জমাট বাধার আগেই মেঘ ভেঙে দেওয়া। সূত্রের খবর, শুক্রবার সুন্দা প্রণালীর আকাশে ‘ক্লাউড সিডিং’ করতে বায়ুসেনার ছোট-বড় ৩টি বিমানকে ব্যবহার করা হয়। জাকার্তার আকাশে মেঘ জমাট বাঁধার আগেই তা ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। প্রসঙ্গত, বিপজ্জনক পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে অনেক দেশই এখন এই প্রযুক্তির সাহায্য নেয়। ইন্দোনেশিয়াও প্রায়শই এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। শুষ্ক মরশুমে দাবানলের হাত থেকে বাঁচতে এই ‘ক্লাউড সিডিং’ করে তারা।
নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তারপর থেকে বৃষ্টি থামার কোনও লক্ষণ নেই। লাগাতার এই বৃষ্টিকে ‘ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ বর্ষণ’ হিসেবে উল্লেখ করেছে ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া, জলবায়ু ও ভূ-প্রাকৃতিক বিষয়ক সংস্থা, বিএমকেজি। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, মধ্য ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভারী বর্ষণ চলতে পারে। ইতিমধ্যে জলমগ্ন জাকার্তার একাধিক এলাকা। বন্ধ স্কুল-কলেজ, সরকারি অফিসও।
বিএমকেজি-র তরফে জানানো হয়েছে, সব মেঘ জাকার্তা অভিমুখেই যাচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, জাকার্তার আকাশেই মেঘ ঘনীভূত হতে পারে। এই পরিস্থিতি এড়াতেই মেঘে সোডিয়াম ক্লোরাইড ছেটানো হচ্ছে। ফলে মেঘগুলো বৃহত্তর জাকার্তায় পৌঁছনোর আগেই বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়বে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.